বিক্ষোভেই কি সাফল্য, উচ্চমাধ্যমিক নিয়ে অন্তিম সিদ্ধান্ত নিলো সংসদ

নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি বছর করোনাকালে পরীক্ষা না হওয়া উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের অধিকাংশ জেলাতেই পড়ুয়া এবং তাদের অভিভাবকদের বিক্ষোভ লক্ষ্য করা গিয়েছে। একাধিক জায়গায় এমন বিক্ষোভের পর শিক্ষা সংসদের সভানেত্রী মহুয়া দাসকে তলব পর্যন্ত করেছে নবান্ন এবং শিক্ষা মন্ত্রী। আর এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই এবার উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ ফেল নিয়ে অন্তিম সিদ্ধান্ত নিলো।

সোমবার সংসদ সভানেত্রী মহুয়া দাস সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, “আমাদের ৯৭.৬ শতাংশ পড়ুয়ারা পাশ করেছিল। আর যেটুকু ফেল করেছিল সেইটুকু আমরা দেখিয়ে দিয়েছি। এখন আমাদের পাশের হার ১০০ শতাংশ।” মহুয়া দাসের কথা অনুযায়ী প্রায় ১৮ হাজার আবেদন এসেছে। এই সকল পড়ুয়াদের পাশ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যেই ওই সকল পড়ুয়াদের সংশোধিত মার্কশিট দিয়ে দেওয়া হবে। যেহেতু কলেজে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে তাই এক্ষেত্রে আর বিলম্বিত করা যাবে না।

সোমবার সংসদের তরফ থেকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর স্বাভাবিকভাবেই একটি প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি বিক্ষোভই সাফল্যের চাবিকাঠি? ফলাফল প্রকাশের পর লাগাতার বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে সংসদের এদিন এমন সিদ্ধান্তের পর স্বাভাবিকভাবেই এই প্রশ্ন জিয়ে রাখলো। তবে এই অন্তিম সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কার্যত স্কুলের কাঁধেই দায় ঠেলে সভানেত্রী এদিন এই ঘোষণা করলেন।

তবে এই সিদ্ধান্তের পর শিক্ষক মহলের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন, ফলাফল প্রকাশের পর যেভাবে একাধিক জায়গায় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হেনস্থা করা হয়েছে, যেভাবে স্কুলের সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে সেই জায়গায় শিক্ষা দপ্তর কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করে এমন পদক্ষেপ নেওয়াটা পড়ুয়াদের আস্কারা দিয়ে দিলো না তো?