বীরভূমে কনটেনমেন্ট জোন বেড়ে দাঁড়ালো ১৯, সিউড়ি ব্লক এলাকায় প্রথম

হিমাদ্রি মণ্ডল : রাজ্যে উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। আর এই সংক্রমণ লাগামছাড়া আকার নেওয়ার আগেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সংক্রমিত এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করে কনটেইনমেন্ট জোনে পরিণত করে কড়া লকডাউন চালানোর। সেইমতো গত ৯ জুলাই থেকে শুরু হয় রাজ্যের ২০টি জেলার ৪৩৪ টি কনটেইনমেন্ট জোনে নতুন করে লকডাউন। ৯ জুলাই থেকে লকডাউন শুরু হবার সময় বীরভূম জেলায় ছিল মাত্র ৯টি কনটেইনমেন্ট জোন। তবে পাঁচদিন পেরোতে না পেরোতেই সেই কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা দাঁড়াল ১৯।

বীরভূমের বিভিন্ন এলাকায় আরও ১০টি কনটেইনমেন্ট জোন বেড়েছে। যাদের মধ্যে প্রথম কনটেইনমেন্ট জোন এলাকা তৈরি হয়েছে সিউড়ি ১ নম্বর ব্লকে। সিউড়ি ১ নম্বর ব্লকের কড়িধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিবেকানন্দপল্লী নামে একটি পাড়ায় এই কনটেইনমেন্ট জোন তৈরি হয়েছে। যেখানে গত রবিবার এক গৃহবধু করোনা আক্রান্ত হন। ইতিমধ্যেই ওই গৃহবধূকে বোলপুর কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে চিকিৎসার জন্য, পাশাপাশি তার সংস্পর্শে আসা ৩৭ জনের কোভিড পরীক্ষা করানো হয় প্রশাসনের তরফ থেকে। যদিও তাদের রিপোর্ট সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি।

পাশাপাশি ওই এলাকার অন্যান্য মানুষেরাও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। আর ইতিমধ্যে প্রশাসনিকভাবে ৪০টি বাড়ি এবং তাদের পরিবারদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস এবং অন্যান্য খাবার-দাবার সকল পরিবারের মানুষেরা ফোন মারফত অর্ডার দিচ্ছেন এবং সরবরাহকারীরা তা পুলিশ ব্যারিকেডের বাইরে থেকে তাদের সরবরাহ করছে। পাশাপাশি প্রশাসনের তরফ থেকে একটি দমকলের ইঞ্জিন পাঠানো হয়েছে এলাকাকে স্যানিটাইজ করার জন্য।

বীরভূমের যে সকল এলাকাকে কনটেইনমেন্ট জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে তার মধ্যে সবথেকে বেশি কনটেইনমেন্ট জোন রয়েছে রামপুরহাট এলাকায়। সেখানে সংখ্যাটা হলো ১৩। বোলপুর ব্লক এলাকায় কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ৫। সিউড়ি ১ নম্বর ব্লক এলাকায় ১টি।