প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী পেলেন নিউজিল্যান্ডের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীত্ব

নিজস্ব প্রতিবেদন : ইংল্যান্ড, আমেরিকার মতো দেশে দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে ভারতীয় বংশোদ্ভূতোরা জায়গা করে নিচ্ছেন। এবার নিউজিল্যান্ডের মন্ত্রীসভায় প্রথমেই স্থান পেলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রিয়ঙ্কা রাধাকৃষ্ণন। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেনর লেবার পার্টির মন্ত্রীসভায়। যুবকল্যাণ ও জনজাতির উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

৪১ বছর বয়সী প্রিয়ঙ্কা রাধাকৃষ্ণন জন্ম কেরলে। পরিবারের সকলে থাকেন কেরলের এরনাকুলামে। বড় হয়ে ওঠা ও পড়াশোনা সিঙ্গাপুর। স্নাতকোত্তর পর উচ্চতর শিক্ষার জন্য তিনি যান নিউজিল্যান্ডে। সেখানে লেবার পার্টির রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। হয়ে ওঠেন নিউজিল্যান্ডের রাজনীতিতে এক জনপ্রিয় মুখ। ২০০৬ সাল থেকে লেবার পার্টির সদস্য হলেও ২০১৭ সালে তিনি সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হন।

২০১৯ সালে নিযুক্ত হন মিনিস্টার ফর এথনিক কমিউনিটির পার্লামেন্টারি প্রাইভেট সেক্রেটারি পদে। এবার স্থান পেলেন মন্ত্রীসভায়।

সোমবার নিউজিল্যান্ডের মন্ত্রীসভায় স্থান পাওয়ার পর ফেসবুক প্রিয়ঙ্কা পোস্ট করেন, “আজ আমার জীবনের খুবই বিশেষ একটা দিন। আমাদের সরকারের একটি অংশ হিসাবে জায়গা পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত। যারা সময় বের করে ফোন বা মেসেজের মাধ্যমে আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তাদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাই। মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর অসাধারণ সব সহ কর্মীদের সঙ্গে কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি আমি।”

প্রিয়ঙ্কা রাধাকৃষ্ণন দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছেন সমাজের অসহায় মানুষদের জন্য। বিশেষত কাজ করেছেন গৃহ নির্যাতনের স্বীকার হওয়া মহিলাদের জন্য। বর্তমানে কাজ করছেন পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য।

আদতে কেরলের পারাভুবের বাসিন্দা প্রিয়ঙ্কা গত বছর ভারতে এসেছিলেন মায়ের মৃত্যুর সময়। বর্তমানে তিনি স্বামী রিচার্ডসনের সঙ্গে থাকেন নিউজিল্যান্ডের ওয়ালিংটনে। তাঁর স্বামী আইটি ফার্মে কর্মরত। বর্তমানে যোগ দিয়েছেন স্ত্রীর মতো লেবার পার্টিতে।

প্রিয়াঙ্কা রাধাকৃষ্ণন নিউজিল্যান্ডের মন্ত্রীসভায় স্থান পাওয়ায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শশী থারুরের মতো ব্যাক্তিত্বও।