২০ ফুটের লঙ্কা গাছ, লঙ্কাকাণ্ড গৃহস্থের বাড়িতে

নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০ ফুট লম্বা লঙ্কা গাছের দেখা মিলল বীরভূম জেলার নানুর থানার অন্তর্গত কীর্ণাহার গ্ৰামে। সাধারণত আড়াই থেকে তিন ফুট লঙ্কা গাছের উচ্চতা হয়। সেখানে লঙ্কা গাছের উচ্চতা ২০ ফুট হওয়াই বিস্ময় তৈরি হয়েছে গ্ৰামবাসীদের মধ্যে। অন্য লঙ্কা গাছ সাধারণ উচ্চতার হলেও এই লঙ্কা গাছটি দোতলা বাড়ির ছাদ ছুঁয়েছে। গ্ৰামবাসীদের মতো হতচকিত লঙ্কা গাছের মালিকও।

কীর্ণাহারের বাসিন্দা বিমান ঘোষ জানান, তিনি বাজার থেকে কিছু লঙ্কা এনেছিলেন। তার বীজ তিনি বাড়ির ভিতরের জমিতে লাগিয়েছিলেন। বীজগুলি থেকে চারা বেরোলেও এই লঙ্কা চারাগাছটি সকলকে ছাড়িয়ে উপরে উঠতে থাকে। গাছটিতে ঝাঁক করে লাল লঙ্কাও ধরে। আর এমন অদ্ভুত ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেন।

তিনি জানান, “জেলার কৃষি দপ্তর বা কৃষি বিজ্ঞানীরা যদি এসে দেখেন তবে এর কারণ বলতে পারবেন। ঠিক কিভাবে একই চারা থেকে এই লঙ্কাগাছটি অন্য প্রজাতির লঙ্কা গাছে পরিণত হল।”

লঙ্কার আদি বাসস্থান মেক্সিকো। মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা জুড়ে নানা জাতের লঙ্কা গাছ দেখা যায়। যদিও লঙ্কা গাছের এত লম্বা হওয়ার নানা নির্দশন আছে। এখনও পর্যন্ত আমেরিকার ক্যালিফোরনিয়াতে ১৯ ফুট লম্বা লঙ্কা গাছের রেকর্ড ছিল। এই গাছটিও প্রায় একই উচ্চতার।

কলম্বাস প্রথম আমেরিকা আবিষ্কার করে এই লঙ্কা গাছের সন্ধান পান। নাম দেন ‘Peppers’। ইউরোপে পর্তুগিজ বণিকদের হাতধরে দক্ষিণ ভারতে কালিকট ও চট্টগ্ৰাম বন্দর হয়ে ভারতে ও বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে। দক্ষিণ আমেরিকার নানাধরনের ভিন্ন প্রজাতির কোন বীজ থেকে ও মিউটেশনের কারণেই এতবড় লঙ্কা গাছ হতে পারে বলে মনে করছেন জেলার কৃষি দফতরের আধিকারিকরা।

কারণ যাইহোক এতবড় লঙ্কা গাছ দেখতে প্রতিদিন ভীড় জমাচ্ছেন গ্ৰামের বাসিন্দারা। ফলে ভীড় সামলাতে নাভিশ্বাস উঠেছে বিমান বাবুর। তাঁর রসিক মন্তব্য এতবড় লঙ্কাগাছের জন্য বাড়িতে লঙ্কাকান্ড শুরু হয়েছে।