৩ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতার আরতি IAS অফিসার হয়ে গড়লেন নজির

নিজস্ব প্রতিবেদন : ৩ ফুট ৬ ইঞ্চির আরতি ডোগরা এক উচ্চতার নাম। বাবা মা’র বিশ্বাস ও নিজের অসাধারণ পরিশ্রমের জোরে ২০০৬ সালে IAS (UPSC) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন আরতি ডোগরা। এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমা সহজ ছিল না। জন্মের আগেই বাবা কর্ণেল রাজেন্দ্র ডোগরা, মা স্কুলের প্রিন্সিপাল কুমকুম ডোগারাকে চিকিৎসক জানিয়ে দেন, তাদের মেয়ে স্বাভাবিক উচ্চতার হবে না এবং পড়াশোনাও স্বাভাবিক স্কুলে করতে পারবে না। এরপরই রাজেন্দ্র ও কুমকুম ডোগরা সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা আর সন্তান নেবেন না এবং তাদের মেয়েকে স্বাভাবিক স্কুলে পড়াশোনা করিয়েই বড়ো করে তুলবেন।

আরতি ডোগরা দেরাদুনের ব্লেহেম গার্ল স্কুলে পড়াশোনা করতেন। এরপর দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের লেডি শ্রীরাম কলেজে অর্থনীতি নিয়ে স্নাতক হন। মাস্টার্স করার সময় দেরদুনের আইএএস অফিসার মণীষা সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর আরতি ডোগরা তাঁর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে সিদ্ধান্ত নেন তিনিও আইএএস অফিসার হবেন। প্রথম বারের চেষ্টাতেই ২০০৬ সালে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে যান।

রাজস্থানের আজমেড় জেলায় তিনি প্রথম জেলাশাসকের দায়িত্ব পান। আজমেড়ের এসডিএমের পদের দায়িত্বও পালন করেন। পালন করেন বিকানীর ও বুদি জেলায় কালেক্টরের পদ।

বিকানীরে জেলা অধিকারি থাকার সময় ১৫৫ টি জেলায় স্বচ্ছ শৌচলায় অভিযান শুরু করেন। সেই সাফল্যের জন্য রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের কাছ থেকে তিনি পুরস্কার লাভ করেন। যোধপুরের ডিস্কাম নির্দেশক হিসাবে তিনি প্রথম মহিলা অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পান। এখানেও তিনি সাফল্যের সঙ্গে কৃতিত্বের পরিচয় দেন। ২০১৯ সালে জাতীয় ভোটার দিবসে আরতি ডোগরা রাষ্ট্রপতি রমানাথ কোবিন্দের কাছে পুরস্কার লাভ করেন।

শরীরের উচ্চতা নয় পরিশ্রম ও লড়াকু মানসিকতার জোরই আরতি ডোগরাকে পৌঁছে দিয়েছে জীবন ও সাফল্যের উচ্চতায়।