টিকিট না মিললেও সান্ত্বনা পুরস্কার পেলেন তৃণমূলত্যাগী ৩ বিধায়ক

নিজস্ব প্রতিবেদন : ঠিক ভোটের আগে যখন শাসকদল তৃণমূল একাধিক বিধায়ককে টিকিট দেওয়া থেকে বিরত থাকে ঠিক সেই সময়ে তারা দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে নাম লেখান গেরুয়া শিবিরে। দলত্যাগী অধিকাংশ বিধায়কের গেরুয়া শিবির থেকে টিকিট মিলবে এমন প্রত্যাশা থাকলেও গেরুয়া শিবির দলে আসা অনেকেই টিকিট দেয়নি। এই তালিকায় থাকা তৃণমূলত্যাগী ৩ বিধায়ককে অবশেষে সান্ত্বনা পুরস্কার দিল বিজেপি।

তৃণমূলত্যাগী এই সকল বিধায়কদের মধ্যে যারা উল্লেখযোগ্য তারা হলেন দীপেন্দু বিশ্বাস, সোনালী গুহ, শীতল সর্দার এবং জটু লাহিড়ী। ইনারা বিজেপিতে যোগ দিলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য টিকিট পাননি। তবে এদের মধ্যে দীপেন্দু বিশ্বাস, সোনালী গুহ এবং শীতল সর্দার সান্ত্বনা পুরস্কার হিসাবে সম্প্রতি বিজেপির রাজ্য কমিটির স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য পদ পেয়েছেন। আর এই পদ পেয়ে তারা বেশ খুশি বলেও জানিয়েছেন।

দীপেন্দু বিশ্বাস, সোনালী গুহ, শীতল সর্দার এবং জটু লাহিড়ী এই চার বিধায়কের মধ্যে দীপেন্দু বিশ্বাস ছাড়া বাকিরা একাধিকবার বিধায়ক হয়েছেন। কেউ কেউ প্রথমদিকে কংগ্রেসের টিকিটে এবং পরে তৃণমূলের টিকিটে বিধায়ক পদে আসীন হয়েছেন। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার জন্য টিকিট না পাওয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে তৃণমূলের সাথে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান। আর বিজেপির তরফ থেকে তাদের সাদর আমন্ত্রণ জানাতে এতোটুকু বিলম্ব করে নি।

[aaroporuntag]
দীপেন্দু বিশ্বাস সম্প্রতি এই পদ পেয়ে জানিয়েছেন, ‘মাত্র এক মাস আগে যোগদান করে এই পদ পাওয়ার গর্বিত বোধ করছি।’ অন্যদিকে সোনালী গুহ প্রথম থেকেই জানিয়ে ছিলেন, তার কোন পদ চায় না, তবে সম্মান চায় এবং ভালোভাবে কাজের সুযোগ চায়। আর এরপর গেরুয়া শিবিরে প্রার্থী হতে না পেরে তার কোনো আক্ষেপ ছিল না। বরং সম্প্রতি তাকে দেওয়া এই পদ বাড়তি পাওনা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা। আপাতত তারা বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে নেমেছেন।