মাত্র ৩৩টি তেলিয়া ভোলা মাছের দাম কোটি টাকা, রাতারাতি ভাগ্য বদল

নিজস্ব প্রতিবেদন : দিন দুয়েক আগেই সুন্দরবনের (Sundarban) মোহনায় উঠেছিল একটি দৈত্যাকার মাছ। যে মাছটি বিক্রি হয়েছিল ৪০ লক্ষ টাকায়। এই মাছটি ছিল অন্ততপক্ষে সাত ফুটের এবং ওজন ছিল প্রায় ৭৮ কেজি। তবে তা হলেও এই মাছের এত দাম কেন? আসলে এই মাছের পেটে রয়েছে অমূল্য রতন

ঠিক একই ভাবে এবার দীঘার (Digha) মোহনার কয়েকজন মৎস্যজীবী ভাগ্য বদলে দিলো তেলিয়া ভোলা মাছ। রাতারাতি তাদের এই ভাগ্য বদলে যায় গতকাল। যেখানে ওই মৎস্যজীবীরা দীঘার মোহনা থেকে ৩৩টি তেলিয়া ভোলা মাছ জালে ফেলতে সক্ষম হয়। আর এই সব ক’টি মাছ বিক্রি হয় কোটি টাকার কাছাকাছি মূল্যে। এইসকল মাছগুলির এত টাকা মূল্য হওয়ার পাশাপাশি মঙ্গলবার একসঙ্গে এত সংখ্যক তেলিয়া ভোলা মাছ দেখতে ভিড় জমান স্থানীয় এবং পর্যটকরা।

জানা গিয়েছে, রুটিন অনুযায়ী এলাকার ৮ থেকে ৯ জন মৎসজীবি বাসন্তী ট্রলারে চেপে সমুদ্র পাড়ি দেন মাছ ধরার জন্য। এরপর সাগরে জাল ফেলতেই পরপর ৩৩টি পূর্ণবয়স্ক তেলিয়া ভোলা মাছ জালে আসে। একসঙ্গে এতগুলি তেলিয়া ভোলা মাছ পাওয়ার পর ওই মৎস্যজীবীরা কোনরকম দেরি না করে ফিরে আসেন দীঘার মোহনায়। এই সকল এত সংখ্যক তেলিয়া ভোলা মাছের খবর ছড়িয়ে পড়তেই তা দেখার জন্য মেলা জমে।

এরপর এই মাছগুলি বিক্রির জন্য নিলাম শুরু হয়। সেখানেই এই ৩৩টি তেলিয়া ভোলা মাছের প্রতি কেজির দাম ওঠে প্রায় ১৩ হাজার টাকা। মোট ওজন দাঁড়ায় ৩৮৬ কেজি। যার পরেই এর মোট দাম দাঁড়ায় ৯৮ লক্ষ ৭৮ হাজার ৪০০ টাকা। জানা গিয়েছে, এই মাছগুলি স্থানীয় এক আড়তদার কিনে নেন এবং সেগুলি তিনি শিয়ালদহে বিক্রি করবেন।

আসলে এই সকল মাছের এত দাম হওয়ার মূলে রয়েছে এদের পেটে থাকা পটকা। এই পটকা থেকে তৈরি করা হয় বিভিন্ন ধরনের ঔষধি জিনিসপত্র। তৈরি হয় ক্যাপসুল এবং চিকিৎসায় ব্যবহৃত সুতো অর্থাৎ অপারেশনের পর যে সকল সুতো ব্যবহার করা হয় সেগুলি। যে কারনেই এই মাছের দাম আকাশছোঁয়া।