মন্ত্রিসভার বৈঠকে গরহাজির গুরুত্বপূর্ণ ৪ মন্ত্রী, ফের জল্পনা বঙ্গ রাজনীতিতে

নিজস্ব প্রতিবেদন : এক জল্পনার অবসান হতে না হতেই ফের নতুন জল্পনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বঙ্গ রাজনীতিতে। সম্প্রতিককালে এমনই ঘটনা ঘটে চলেছে। মাস কয়েকের জল্পনার পর যখন শুভেন্দু অধিকারী জোড়া ফুল ছেড়ে পদ্ম ফুলে নাম লেখান ঠিক তখন বিজেপির তরফ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, এটা শুধু ট্রেলার। আর এর পরেই দেখা যায় মঙ্গলবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে গরহাজির গুরুত্বপূর্ণ ৪ মন্ত্রী।

এদিনের বৈঠকে যে ৪ মন্ত্রী অনুপস্থিত ছিলেন তাঁরা হলেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, মৎস্য মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ এবং পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। আর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ক্যাবিনেট বৈঠকে এমন একঝাঁক মন্ত্রীর অনুপস্থিতি ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

যদিও ওই অনুপস্থিতির কারণ হিসেবে রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ জানিয়েছেন, “এখানে কোন জল্পনা-কল্পনার কিছু নেই। আগামী ২৮ তারিখ আমাদের এখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসবেন। তার প্রস্তুতির জন্য তিনি বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি। তৃণমূলে আছেন এবং থাকবেন। তৃণমূল ছাড়া বিকল্প কিছু ভাবছেন না।” তবে তিনি বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারবেন না সে কথা আগে থেকে জানানো সময় পাননি বলেও জানিয়েছেন।

বৈঠকে মন্ত্রীদের অনুপস্থিতির বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, “যেসকল মন্ত্রীরা উপস্থিত থাকতে পারেননি তাঁরা প্রত্যেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে ফোনে যোগাযোগ করেছিলেন। রাজিব জানিয়েছে ব্যক্তিগত কারণে মিটিংয়ে উপস্থিত থাকতে পারবেন না।”

অন্যদিকে তিনি আরও জানিয়েছেন, গৌতম দেব সদ্য করোনা মুক্ত হয়েছেন। পাশাপাশি যে সকল মন্ত্রীরা দূরে রয়েছেন তাদের করোনা আবহে ছাড় দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রবীন্দ্রনাথ ঘোষ গত কয়েকটি মন্ত্রিসভার বৈঠকে গরহাজির অসুস্থতার কারণে।

প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারীর মতোই বেশ কয়েকদিন ধরে বেসুরো বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের একাংশের বিরুদ্ধে যে তার ক্ষোভ রয়েছে তা তার বক্তব্যের মধ্যেই বারবার পরিস্ফুটিত হতে দেখা গিয়েছে। তবে তার ক্ষোভ প্রশমন করতে একাধিকবার রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বের সাথে বৈঠক হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই সেই বৈঠক ফলপ্রসূ বলে দাবি করা হয়েছে শাসকদলের তরফ থেকে। অন্যদিকে আবার ক্ষোভ থাকলেও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের সামনে দলের মধ্যের কথা বলতে নারাজ। যার পরেই রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন জল্পনা কল্পনা থাকলেও খুব মেপেঝোঁকে পা বাড়াচ্ছেন এই সকল শাসক দলের নেতারা।