নিজস্ব প্রতিবেদন : উত্তরোত্তর রাজ্যজুড়ে বেড়ে চলেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। আর এই সংক্রমণ ঠেকাতে গত সপ্তাহের মঙ্গলবার রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন ৯ই জুলাই থেকে নতুন করে লকডাউন জারি হবে প্রতিটি জেলার কনটেইনমেন্ট জোন চিহ্নিত এলাকায়। ঘোষণা মতো ৯ তারিখ বিকাল ৫টা থেকে শুরু হয় লকডাউন। তবে তারপরেও লাগাম টানা যাচ্ছে না সংক্রমণে। ৯ তারিখ রাজ্যের ২০টি জেলার ৪৩৪টি কনটেইনমেন্ট জোনে নতুন করে লকডাউন শুরু হলেও বর্তমানে জেলার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২১ এবং কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭১। অর্থাৎ এই কয়েকদিনের মধ্যেই কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা বাড়ল ১৩৭টি।
জুলাই মাসের ৯ তারিখ নতুন করে লকডাউন জারি হওয়ার সময় রাজ্যে যে সকল কনটেইনমেন্ট জোন সেগুলি হলো কলকাতা (২৫), হাওড়া (৫৬), উত্তর ২৪ পরগনা (৯৫), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৫৪), হুগলি (২১), নদীয়া (২৫), পূর্ব মেদিনীপুর (১২), পশ্চিম মেদিনীপুর (২৩), পূর্ব বর্ধমান (২১), মালদা (৪), জলপাইগুড়ি (১১), দার্জিলিং (৫), কালিম্পং (৩), উত্তর দিনাজপুর (৩০), দক্ষিণ দিনাজপুর (১০), মুর্শিদাবাদ (৪), বাঁকুড়া (৯), বীরভূম (৯), পুরুলিয়া (১৩), আলিপুরদুয়ার (৪০)।
কিন্তু বর্তমানে নতুন জেলা হিসেবে যোগ হয়েছে কোচবিহার। আর জেলাভিত্তিক কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা হলো কলকাতা (২৮), হাওড়া (৮৫), উত্তর ২৪ পরগনা (৯৫), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৫৫), হুগলি (২১), নদীয়া (৪১), পূর্ব মেদিনীপুর (১৮), পশ্চিম মেদিনীপুর (২৩), পূর্ব বর্ধমান (৫২), মালদা (৪), জলপাইগুড়ি (১১), দার্জিলিং (৭), কালিম্পং (১), উত্তর দিনাজপুর (৬১), দক্ষিণ দিনাজপুর (১০), মুর্শিদাবাদ (৪), বাঁকুড়া (১৬), বীরভূম (১৯), কোচবিহার (৩), পুরুলিয়া (১৩), আলিপুরদুয়ার (৪)।
যে সকল জেলায় কনটেইনমেন্ট জোন বেড়েছে অথবা কমেছে
কলকাতায় বেড়েছে ৩টি, হাওড়ায় বেড়েছে ২৯টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বেড়েছে ১টি, নদীয়ায় বেড়েছে ১৬টি, পূর্ব মেদিনীপুরে বেড়েছে ৬টি, পূর্ব বর্ধমানে বেড়েছে ২১টি, দার্জিলিঙে বেড়েছে ৩টি, কালিম্পং-এ কমেছে ২টি, উত্তর দিনাজপুরে বেড়েছে ৩১টি, বাঁকুড়ায় বেড়েছে ৭টি, বীরভূমে বেড়েছে ১০টি, কোচবিহারে বেড়েছে ৩টি, আলিপুরদুয়ারে কমেছে ৩৬টি। আর রাজ্যের ২৩টি জেলার মধ্যে কনটেইনমেন্ট জোন মুক্ত জেলা রইল মাত্র দুটি, যে দুটি জেলা হল পশ্চিম বর্ধমান এবং ঝাড়গ্রাম।