বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে এবার চাকরি গেল ৬১৪ জনের

নিজস্ব প্রতিবেদন : এসএসসিতে নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি কাণ্ডে সরগরম রাজ্য। ইতিমধ্যেই এই মামলায় চাকরি গিয়েছে বেশ কয়েকজনের। এসএসসি ছাড়াও টেট দূর্নিতি কাণ্ডে চাকরি খোয়াতে হয়েছে ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকাকে। চাকরি নিয়ে যখন এই ধরনের নানা অভিযোগ উঠছে সেই সময় নতুন করে চাকরি খোয়ালেন ৬১৪ জন।

বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে এবার এই ৬১৪ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করল স্যাট। এই সকল চাকুরীজীবিদের নিয়োগ করা হয়েছিল বাম জামানায়। তাদের এইভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার পরিপ্রেক্ষিতে একপ্রকার প্রমাণ হলো, বাম জামানাতেও চাকরিতে নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে।

বামফ্রন্টের রাজত্বের শেষ কালে খাদ্য দপ্তরের গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ করা হয়েছিল ৬১৪ জনকে। অভিযোগ ছিল এই নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগের নামে প্রহসন হয়েছে। হাইকোর্ট এই মামলার পর্যবেক্ষণে জানায়, নিয়োগের নামে প্রহসন হয়। হাইকোর্টের সেই পর্যবেক্ষণের পরিপ্রেক্ষিতেই স্টেট অ‌্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল তথা স‌্যাট এমন রায় দিয়েছে।

স্যাট রায় দিয়ে জানিয়েছে, ২০১০ সালে নিয়ম ভেঙে যে ৬১৪ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। এই সকল প্রত্যেক কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার কথা জানানো হয়েছে। বরখাস্ত করার জন্য আট সপ্তাহের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে যে সিলেকশন বোর্ডের দ্বারা এই সকল প্রার্থীরা চাকরিতে নিয়োগ হয়েছিলেন সেই সিলেকশন বোর্ডের সদস্যদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার কথা বলা হয়েছে।

খাদ্য দপ্তরের গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ করার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল ২০০৮ সালে। লক্ষাধিক আবেদনের ভিত্তিতে এই সকল গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ করা হয় ২০১০ সালে। তবে এই নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা হয় ২০১২ সালে। স্যাট সেই মামলা পাঠায় হাইকোর্টে এবং ২০১৬ সালে হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি নিশীথা মাত্রের বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে জানায়, একদিনে ৮০০ জনের ইন্টারভিউ নিয়ে নিয়োগ করা একটা প্রহসন ছাড়া কিছুই নয়।