নিজস্ব প্রতিবেদন : সরকারি ব্যাঙ্ক হিসাবে দেশের সবচেয়ে বৃহত্তম ব্যাঙ্ক হল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI)। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় দেশের কোটি কোটি গ্রাহক বিনিয়োগ করে থাকলেও অধিকাংশ গ্রাহকদের মধ্যেই অভিযোগ সুদের হার অন্যান্য ব্যাঙ্কের তুলনায় কম। তবে এই ব্যাঙ্কেরই এমন একটি স্কিম রয়েছে যে স্কিমের আওতায় টাকা জমা রেখে ৮.২% পর্যন্ত সুদ পাওয়া যেতে পারে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দুরন্ত লাভের সুযোগ রয়েছে ওই স্কিমে।
স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার যে স্কিমটি কথা বলা হচ্ছে তার নাম হলো সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম (SBI SCSS)। নাম দেখেই স্পষ্ট এই স্কিম কাদের জন্য স্কিমটির নাম সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম হলেও অনেকে আবার এই স্কিমটিকে ৩০ লক্ষের প্রকল্প হিসাবে জানেন। বরং চলতি বাজারে ৩০ লক্ষের প্রকল্প হিসাবেই খুব পরিচিত এই প্রকল্পটি। এই প্রকল্পে সর্বনিম্ন এক হাজার টাকা বিনিয়োগ করেই অ্যাকাউন্ট করা যায়।
যে সকল প্রবীণ নাগরিকরা এই প্রকল্পের আওতায় বিনিয়োগ করতে চান তাদের নূন্যতম বয়স ৬০ বছর বা তার বেশি হতে হবে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই প্রকল্পের আওতায় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সে ছাড় দেওয়া হয়। যেমন সরকারি সংস্থা প্রতিরক্ষা অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা এই প্রকল্পের আওতায় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের ছাড় পান। সরকারি সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা ৫৫ বছর হলেই তারা বিনিয়োগ করতে পারেন। আবার প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে অবসরপ্রাপ্তকর্মীরা ৫০ বছর বয়সেই এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে পারেন।
আরও পড়ুন : WBCHSE New Rules: উচ্চমাধ্যমিকে সংসদের নতুন নিয়ম, না মানলে পরীক্ষায় বসতেই দেওয়া হবে না
স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার এই প্রকল্পে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বার্ষিক ৮.২% সুদের পাশাপাশি ৮০ সি ধারা অনুযায়ী দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়করের ক্ষেত্রে ছাড় পাওয়া যায়। বেশি সুদের পরিমাণ হলে অবশ্যই বিনিয়োগকারীকে ১৫ জি অথবা ১৫ এইচ ফর্ম ফিলাপ করতে হবে। আর তা না হলে নিয়ম অনুসারে টিডিএস কেটে নেওয়া হবে।
এই প্রকল্পের মেয়াদ পাঁচ বছরের জন্য। তবে বিনিয়োগকারীরা চাইলে তার আগেও টাকা তুলতে পারেন। এক বছরের মধ্যে টাকা তুলে নেওয়া হলে কোন সুদ দেওয়া হবে না। যদি এক বছর পূর্ণ করার পর দু’বছরের মধ্যে টাকা তুলে নেওয়া হয় তাহলে ১.৫% সুদ কেটে নেওয়া হবে। এর পাশাপাশি পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার পর আরও তিন বছরের জন্য মেয়াদ বৃদ্ধি করা যেতে পারে। অন্যদিকে বিনিয়োগ করার পর মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই বিনিয়োগকারীর মৃত্যু হলে ৪ শতাংশ সুদ দিয়ে টাকা তোলার সুযোগ দেওয়া হয়।