Floating Solar Power Energy: বর্তমানে সারাবিশ্বের সবথেকে বড় সমস্যা হলো দূষণ। দূষণ এর কারণে পরিবেশ ক্রমশ ধ্বংসের মুখে এগিয়ে যাচ্ছে। ক্রমবর্ধমান দূষণের পরিস্থিতিতে একমাত্র কার্যকরী সমাধান হলো সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প। জ্বালানির ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি এবং দূষণ পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার খুব শীঘ্রই চালু করতে চলেছে সোলার প্যানেল। কোথায় বসানো হবে এই সোলার প্যানেল? কেন্দ্রীয় সরকারের এই উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে বাংলার বীরভূম। বসতে চলেছে রাজ্যের প্রথম ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র।
বীরভূমের বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কথা সকলেই শুনেছে এবং এখানে নীলনির্জন জলাধারের উপর গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে এই ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প। কারা গড়ে খুলবে এই ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প (Floating Solar Power Energy)? মহারাষ্ট্রের একটি সংস্থার তত্ত্বাবধানে তিন সদস্যের একটি দল ইতিমধ্যেই জলাধারের সমীক্ষা শুরু করেছে। সমীক্ষা দলের একজন বিশেষজ্ঞ হাইড্রো ইঞ্জিনিয়ার, মনোজ মালেকার, বলেছেন যে, বাংলার জন্য একটি গৌরবময় পর্ব শুরু হতে চলেছে। এই প্রকল্পে অংশ নিতে পেরে তিনি সত্যিই গর্বিত।
আরো পড়ুন: সান্দাকফুতে শীতের প্রথম বরফে মোড়া সৌন্দর্য, দেখতে অবশ্যই ছুটে যেতেই হবে
এই সমীক্ষার আসল লক্ষ্য কি? সমীক্ষাতে ২৫ মিটার গভীর জায়গায় একটি বিশেষ যন্ত্র ও বসানো হয়েছে। এই যন্ত্রের মাধ্যমে জলাধারের (Floating Solar Power Energy) ঢেউ রোট তাপমাত্রা ঘনত্ব এবং বিশেষ করে লবণাক্ততার মত আটটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে সুবিধা হবে। এই তথ্যর দ্বারাই একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করা সম্ভব হবে।
আরো পড়ুন: কেঁচো খুঁড়তে কেউটে! মাটি খুঁড়তে গিয়ে বাংলার বুকে প্রাচীন সুড়ঙ্গের হদিশ
বাংলাতে সবথেকে বড় সমস্যা হলো জমি অধিগ্রহণ সমস্যা। তাই এই সমস্যা এড়ানোর জন্য জলাশয়ের উপর তোলার প্যানেল বসানোর পক্ষপাতী এই সংস্থা। জমির পরিবর্তে জলাশয়ের উপর ভাসমান সোলার প্যানেল (Floating Solar Power Energy) বসিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সহজ হবে এবং এই অভিনব পরিকল্পনা কার্যকরী করতে চাইছে এই সংস্থাটি। সাধারণ মানুষের পক্ষেও এটি কার্যকরী হবে। যদি একবার এটি বাস্তবায়িত হয় তাহলে বিদ্যুতের ঘাটতি এবং নানাবিধ সমস্যার সমাধান সম্ভব। এই পরিকল্পনার মাধ্যমে দূষণ আগের থেকে অনেক বেশি কমবে।
এই প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক রাজ্য সরকারকে ঋণ দিয়েছে। এই প্রকল্প কতটা লাভজনক হবে তা এখনও বলা যাচ্ছে না। এই প্রকল্পের দ্বারা সবথেকে বেশি লাভবান হবে সাধারন মানুষ। কারণ এই নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে অনেক মানুষ কর্মসংস্থান খুঁজে পাবে। মানুষের কর্মসংস্থান হলে তা রাজ্যের পক্ষেও যথেষ্ট লাভজনক। বাংলার মাটিতে এমন পরিবেশবান্ধব প্রকল্প যে গড়ে উঠতে চলেছে সেটি অনেক বড় কথা।