Bangladesh: পূর্বে বেশ কয়েক মাস ধরেই বাংলাদেশ সরকার নিয়ে চলছিল তুমুল ঝামেলা। দেশ আইনি শাসনের বাইরে চলে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে অন্য দেশে চলে গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। তবে বর্তমানে সরকার সংশ্লিষ্ট ঝামেলা কিছুটা আয়ত্তে এলেও অপরদিকে বাংলাদেশে শুরু হয়েছে নতুন ঝামেলা। চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারি ঘিরে বাংলাদেশে (Bangladesh) চলছে উথাল-পাতাল কান্ড। কিন্তু এই চিন্ময় প্রভু কে? তিনি হঠাৎ করে কেন গ্রেফতার হলেন? সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জনমহলে।
জানা গিয়েছে এই চিন্ময় প্রভু হলেন বাংলাদেশের হিন্দু নেতাদের মধ্যে অন্যতম পরিচিত এক ব্যক্তি। বাংলাদেশের সম্মিলিত সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র এবং ইসকন সাধু হলেন এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। যার আসল নাম চন্দন কুমার ধর। তিনি চট্টগ্রামের পুণ্ডরিক গ্রামের প্রধান। ধার্মিক হওয়ার পাশাপাশি তিনি একজন প্রতিবাদীও বটে।
বহুবার বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুদের অধিকার নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবাদে সবর হয়েছেন চিন্ময় প্রভু। আর সেই প্রতিবাদের কারণেই হাতে হাত করা পরল ইসকন সাধুর। সোমবার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে বাংলাদেশের বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়। ১০ দিনের জন্য তাকে হেফাজতে রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে। আর সেই নিয়ে তুমুল তোলপাড় বাংলাদেশে। কি এমন প্রতিবাদ করেছিলেন ইসকন সাধু যার শাস্তি হলো গ্রেফতারি?
আরো পড়ুন: গভীর নিম্নচাপে পরিনত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ফেনজল, কেমন থাকবে বাংলার আবহাওয়া, জানালে হাওয়া অফিস
সূত্রের খবর, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করেছে চিন্ময় দাস প্রভু। আর সেই রাষ্ট্রদ্রোহের (Bangladesh) অভিযোগ এনে চিন্ময় প্রভুকে গ্রেফতার করিয়েছে ইউনূস সরকার। জানা গিয়েছে চিন্ময় প্রভু সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালি পুলিশ স্টেশনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ৩০শে অক্টোবর ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রতি অবমাননার অভিযোগ করেছে পুলিশ স্টেশনে। আর সেই ভিত্তিতেই সোমবার গ্রেফতার করা হয় চিন্ময় প্রভুকে। জামিন করাতে গেলে না-মঞ্জুর করা হয়। পরের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার ১০ দিনের জন্য হেফাজতে পাঠানো হয় ইসকন সাধুকে।
জামিন না-মঞ্জুর করাতেই তীব্র ক্ষেপে উঠে ইসকন। ইসকন তরফে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশের (Bangladesh) সরকারের কাছে চিন্ময় প্রভুর মুক্তির দাবি জানানো হয় ইসকন তরফে। ইসকন সাধুর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে ইসকন কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ইসকন তরফে ভারত সরকারকেও এই মধ্যস্থতা করার আর্জি জানানো হয়েছে। আর এইসব নিয়েই বাংলাদেশে চলছে তুমুল দ্বন্দ্ব। শেষ পর্যন্ত কি হয় সেটাই দেখার।