পাঁড়ুইয়ের ঘটনায় বিজেপি নেতা সহ ৮ জনের পুলিশ হেফাজত

Himadri Mondal

Updated on:

Advertisements

হিমাদ্রি মণ্ডল : গতকাল বিজেপির থানায় থানায় ডেপুটেশন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয় পাঁড়ুই এলাকা। তৃণমূল এবং বিজেপি দুই পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করার অভিযোগ তোলে। যে ঘটনার তদন্তে নামে পাঁড়ুই থানার পুলিশ। তদন্ত চলাকালীন পুলিশের তরফ থেকে দুই পক্ষের চারজন করে মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর এই গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপির অন্যতম নেতা শেখ সামাদ, যিনি বর্তমানে বীরভূম জেলা বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি।

Advertisements

বিজেপি নেতা শেখ সামাদ সহ ধৃত আটজনকে বৃহস্পতিবার সিউড়ি জেলা আদালতে তোলা হয়। আদালতে পেশ করার পর পুলিশের তরফ থেকে প্রত্যেকের দশ দিনের পুলিশি হেফাজতের আর্জি জানানো হয় বিচারকের কাছে। বিচারক সমস্ত দিক বিবেচনা করে ওই আট জনের পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

Advertisements

আর এই গ্রেপ্তারীর পর বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা সভাপতি শেখ সামাদ জানিয়েছেন, “আমরা বোমও খেলাম, কেসও খেলাম।” বিজেপি নেতার আইনজীবী সোমনাথ মুখার্জী জানিয়েছেন, “আমার মক্কেলের দাবি অনুযায়ী তারা থানায় ডেপুটেশন জমা দিতে গিয়েছিলেন। সে সময় তাদের থানায় বসিয়ে রেখে মিথ্যা মামলায় দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফ থেকে।”

Advertisements

অন্যদিকে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা সভাপতি শেখ সামাদ গ্রেফতার হওয়ার পর বীরভূম জেলা বিজেপি সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল ফের একবার পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, “ব্রিটিশ আমলেও এমন প্রশাসন ছিল না, যে প্রশাসন এখন তৃণমূলের আমলে আমরা দেখতে পাচ্ছি। পুলিশকে এইভাবে মিথ্যা কেস দিয়ে আমাদের গ্রেপ্তার করা দরকার নেই। পুলিশ একবার বলে দিক, তাহলে আমরা বীরভূমের চারখানা জেলখানা ভরিয়ে দেবো। নিজেরাই গিয়ে জেলে ঢুকে যাবো।”

গতকালকের ঘটনার পর থেকেই বিজেপি এবং তৃণমূল একে অপরের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ তোলে। গতকাল এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বীরভূমের তৃণমূল সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিনহা জানিয়েছিলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মতো শান্ত রাজ্যকে বিজেপি অশান্ত করতে চাইছে। পাঁড়ুইয়ে বিজেপির লোকেরাই অশান্তির সৃষ্টি করে তৃণমূলের নামে চাপানোর চেষ্টা করছে।”

Advertisements