‘দু’পয়সার প্রেস’, মহুয়ার মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব যাঁরা

Madhab Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : সাংবাদিকদের সম্পর্কে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র-এর ‘দু’পয়সার প্রেস’ মন্তব্য নিয়ে ক্ষোভ দানা বাঁধছে। তার এহেন মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই তারই দলের বহু নেতাকে সরব দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের বেশকিছু সংবাদমাধ্যম ইতিমধ্যেই তাকে বয়কটের ডাক দিয়েছেন। আর এমত অবস্থায় তিনি ক্ষমা চাইলেও তার ক্ষমা চাওয়ার ভঙ্গি বলে দিচ্ছে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তিনি একচুলও সরেননি।

Advertisements

মহুয়ার মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব যাঁরা

Advertisements

অনুপম হাজরা : বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা মহুয়া মৈত্র-এর মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হয়ে জানিয়েছেন, “যাঁকে তাঁকে তুলে এনে সাংসদ করলে এমনটাই হয়। ও আসলে নিজের দাম বলতে গিয়ে সাংবাদিকদের তা বলে ফেলেছেন।”

Advertisements

কুনাল ঘোষ : তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘দু’পয়সার প্রেস’ এই মন্তব্য অত্যন্ত কুরুচিকর এবং নিন্দনীয়। এইভাবে সংবাদমাধ্যমকে বিদ্ধ করা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং প্রতিবাদযোগ্য।

রুদ্রনীল ঘোষ : অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ নিজের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দুঃখ প্রকাশ করার পরিবর্তে যেভাবে তিনি মিন টুইট করেছেন সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক। উনি নিজের মন্তব্যে অনড়, এর থেকে লজ্জাজনক আর কিছু হতে পারে না।

সুব্রত মুখোপাধ্যায় : তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মহুয়া মৈত্র-র মন্তব্য তিনি সরাসরি শোনেননি। তবে তিনি সাংবাদিকদের থেকে শুনেছেন। যার পরে উনি জানিয়েছেন মহুয়ার মন্তব্যকে দল অনুমোদন করে না।

কৌশিক সেন : জনপ্রতিনিধিদের শিখতে হয় কিভাবে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করতে হয়। একজন জনপ্রতিনিধির রাগ হলে তার বহিঃপ্রকাশ এইভাবে হতে পারে না। উনি যথেষ্ট বুদ্ধিমান মানুষ, আশা করব নিজের মন্তব্যের ভুলত্রুটি তিনি খুব দ্রুত সংশোধন করে নেবেন।

কমলেশ্বর মুখার্জী : পরিচালক কমলেশ্বর মুখার্জী জানিয়েছেন, পৃথিবীতে কোন পেশায় ছোট নয়। যে সকল ব্যক্তিরা জনপ্রিয় রাজনীতির ওপর নির্ভর করে রাজনীতি করেন তাদের এই ধরনের মন্তব্য উচিত নয়। ঔদ্ধত্য পতন ডেকে এনেছে এমন উদাহরণ পৃথিবীতে অনেক রয়েছে।

প্রবীর ঘোষাল : তৃণমূল নেতা প্রবীর ঘোষাল জানিয়েছেন, মহুয়া মৈত্র-র মত একজন শিক্ষিত মানুষের থেকে এমন মন্তব্য আশা করা যায় না। সংবাদমাধ্যম আমার হয়ে কথা বললে বাহবা দেবো। আর বিরুদ্ধে কথা বললে কুরুচিকর মন্তব্য করবো এটা অনভিপ্রেত। নিজের ভুল শুধরে নেবেন এটাই আশা করা যায়।

নুসরত জাহান : তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান মহুয়ার মন্তব্যকে দুর্ভাগ্যজনক বলে দাবি করেছেন। তার বক্তব্য সংবাদমাধ্যম গণতন্ত্রের শক্ত স্তম্ভ।

শ্রীলেখা মিত্র : এটা ওর থেকে আশা করিনি।

এর পাশাপাশি তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী, নাট্যপরিচালক দেবেশ চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা প্রেসক্লাব সভাপতি স্নেহাশিস শূর, এমনকি কৌশলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও মহুয়া মৈত্র-র এহেন মন্তব্যের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন।

Advertisements