নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর সেই সংক্রমণ ঠেকাতে কেন্দ্রের তরফ থেকে জারি করা হয় লকডাউন। আর এই লকডাউন চলাকালীন দেশের কোটি কোটি মানুষ অসহায় ভাবে জীবনযাপন করেছেন। কেউ পরিবার থেকে দূরে থেকে বাড়ি ফেরার জন্য চঞ্চল হয়ে উঠেছিলেন, কারণ আবার রোজগার হারিয়ে খেতে না পাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। এমন মর্মান্তিক ছবি লকডাউন চলাকালীন প্রতিনিয়ত সকলের সামনে উঠে এসেছিল।
তবে এই মর্মান্তিক সময়েও দেশের অজস্র সাংসদ নিজেদের জীবন পরোয়া না করে মানুষের জন্য লাগাতার কাজ করে গেছেন। আর এই সকল সাংসদদের মধ্যে কারা সেরা তা খুঁজে বের করতে দিল্লির একটি সংস্থা সমীক্ষা শুরু করে। আর সেই সমীক্ষার ফলাফল সামনে আসতেই প্রকাশ্যে আসে লকডাউনের সময় দেশের সেরা ১০ সাংসদের নাম।
ওই সংস্থার তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে তারা এই ফলাফল প্রকাশ্যে আনার আগে অক্টোবর মাসের ১ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত দেশের ৩৪ লক্ষ মানুষের ওপর সমীক্ষা চালায়। বাছাই করা ২৫ জন সাংসদের কেন্দ্রে এই সমীক্ষা চালানো হয়। তার পরেই তারা সেরার তালিকা সামনে আনে।
সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী সেরা ১০ সাংসদদের মধ্যে ৫ জন রয়েছেন বিজেপির। বাকি পাঁচজন অন্যান্য রাজনৈতিক দলের। বাকি পাঁচজনের মধ্যে একজন করে রয়েছেন কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, শিবসেনা, শিরোমণি অকালি দল ও ডিএমকের।
তালিকায় প্রথমেই রয়েছেন উজ্জ্বয়িনীর বিজেপি সাংসদ অনিল ফিরোজিয়া। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ওয়াইএসআর কংগ্রেসের আদালা প্রভাকর রেড্ডি। তৃতীয় স্থানে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা ওয়ানড় কেন্দ্রের সাংসদ রাহুল গান্ধী। চতুর্থ স্থানে তৃণমূলের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। পঞ্চম স্থানে রয়েছেন বিজেপির সাংসদ তেজস্বী সূর্য। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন শিবসেনার সাংসদ হেমন্ত তুকারাম গডসে। সপ্তম স্থানে রয়েছেন শিরোমণি আকালি দলের সাংসদ শুখবির সিং বাদল। অষ্টম স্থানে বিজেপি সাংসদ শংকর লালওয়ানি। নবম স্থানে ডিএমকে সাংসদ Dr T Sumathy (a) Thamizhachi Thangapandian এবং দশম স্থানে রয়েছেন বিজেপি সাংসদ নীতিন গড়কড়ি।