নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আগে নতুন নতুন সমীকরণে বেশ জমে উঠেছে বঙ্গ রাজনীতি। ইতিমধ্যেই সংখ্যালঘু মহাজোট তৈরি করতে রবিবার বাংলায় এসে মিম প্রধান আসাউদ্দিন ওয়াইসি ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর সাথে বৈঠক করে ঘোষণা করেছেন একসাথে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে লড়ার। আর এরই মাঝে এবার নতুন সমীকরণ শিবসেনা।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তারা পশ্চিমবঙ্গে প্রার্থী দিয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে পা রাখতে চলেছে। রবিবার এমনটাই ঘোষণা শোনা গেল পশ্চিমবঙ্গের শিবসেনার সাধারণ সম্পাদক অশোক সরকারের মুখ থেকে। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যে ১০০টি আসনে তারা প্রার্থী দেবেন আসন্ন বিধানসভায়। আর এই ঘোষণার পরেই একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নতুন নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ উঠে আসছে।
প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে অশোক সরকার জানিয়েছেন, “শিবসেনা, আমরা বাঙালি, উত্তরবঙ্গ সমাজ পার্টি ও উত্তরবঙ্গ আদিবাসী পরিষদের জোট তৈরি করে রাজ্যে ১০০টি বিধানসভার প্রার্থী দেওয়া হবে। পরে এই জোটে ঝাড়গ্রামের কোন একটি সংগঠনে যুক্ত হতে পারে।”
পাশাপাশি অশোক সরকার ঘোষণা করে জানান, “বিজেপি বাংলা বিরোধী, ফ্যাসিস্ট শক্তি। আসাম, ত্রিপুরা সহ যেসকল উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে বিজেপি সরকার শাসনে এসেছে সেই সকল রাজ্যে তাদের বাঙালি বিরোধী মনোভাব লক্ষ্য করা গেছে। তাই বাংলাভাষা এবং বাংলা সংস্কৃতির বিরুদ্ধে যারা সেই বিজেপিকে হারাতে আমরা জোট করে লড়বো।”
রাজ্যে মিমের প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা করার পর রাজনৈতিক মহলে যেমন শাসকদল তৃণমূলের ভোট কাটার সম্ভাবনার প্রসঙ্গ উঠতে শুরু করেছে, ঠিক তেমনই শিবসেনা সহ আরও বেশ কয়েকটি সংগঠন নতুন করে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা করায় বিজেপির ভোট কাটবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞদের একাংশ। যদিও রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু এর পরিপ্রেক্ষিতে জানিয়েছেন, “পশ্চিমবঙ্গে যে সকল দলগুলির কোন অস্তিত্ব নেই তাদের সম্পর্কে কথা বলা নিষ্প্রয়োজন।”