নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রাক বিধানসভা মরশুমে দলীয় কর্মসূচি নিয়ে সোমবার বীরভূমের রামপুরহাট আসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রামপুরহাটে আসার পর মঙ্গলবার সাতসকালে তারাপীঠে গিয়ে তারা মায়ের পুজো দেওয়ার পর যোগ দেন চায় পে চর্চা কর্মসূচিতে। আর এই কর্মসূচি থেকেই রাজ্যের শান্তি-শৃঙ্খলা এবং উন্নয়ন নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন তিনি।
উন্নয়ন প্রসঙ্গে মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় দিলীপ ঘোষ বলেন, “পশ্চিমবাংলায় আছে নমুনা, লাঠি তরোয়াল নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে উন্নয়ন। এই উন্নয়ন থেকে বাংলা বীরভূমকে নিষ্কৃতি দিতে হবে। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বলেন পশ্চিমবাংলায় বিশাল উন্নয়ন হয়েছে। কি উন্নয়ন হয়েছে সেটা একমাত্র TMC-র অফিস দেখলে বোঝা যায়। রংটং হয়েছে। এসি লেগেছে। সোফা লেগেছে। টিএমসি নেতাদের বাড়ি দেখলে বোঝা যায় উন্নয়ন হয়েছে। আর কোথাও উন্নয়ন নেই।”
এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “পাকা রাস্তা হলেও সেটা হয় টিএমসি নেতার বাড়ির সামনে দিয়ে। জলের কল লাগলেও সেটা লাগে টিএমসি নেতার বাড়ির সামনে। দোতলা তিনতলা বাড়ি টিএমসি নেতা। বাকি সাধারণ মানুষ একই আছেন। চাকরির জন্য, কাজের জন্য হয় বিহার বা ঝাড়খন্ডে যেতে হবে। না হলে গুজরাটে, মহারাষ্ট্রে, মধ্যপ্রদেশে যেতে হবে।”
রামপুরহাটে দাঁড়িয়ে এদিন দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, “পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য বিজেপি কর্মীরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এখানে রাজনৈতিক অধিকার নেই। মানুষের ভোট দেওয়ার অধিকার নেই। ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশের পশ্চিমবঙ্গে ভোট হয় না। ভোট হলে নমিনেশন করতে দেওয়া হয়নি। নমিনেশন হলে প্রচার করতে দেওয়া হয়। প্রচার করলে ভোট দিতে দেওয়া হয় না। তার পরেও ভোটে জিতল তাদের গ্রামে থাকতে দেওয়া হয় না। গ্রামছাড়া করে দেওয়া হয়। পঞ্চায়েত ভোটে এটা আমরা দেখেছি। তাই আমাদের প্রথম অঙ্গীকার পশ্চিমবাংলায় গণতন্ত্র ফিরিয়ে নিয়ে আসা।”