নিজস্ব প্রতিবেদন : সময়টা মোটেই ভাল যাচ্ছে না আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। নির্বাচনে হারের পর গিয়েছে প্রেসিডেন্ট পদ, এরপরেও একাধিক ক্ষেত্রে নানান সমস্যার সম্মুখীন তিনি। ক্যাপিটাল তাণ্ডবে উস্কানির অভিযোগে জর্জরিত, এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াতেও তিনি নিষিদ্ধ। এমন জর্জরিত অবস্থায় ফের একটি বিশেষ তকমা হারালেন ট্রাম্প।
সম্প্রতি আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশেষ তকমা হিসেবে খুইয়েছেন ফোর্বস তালিকা। ফোর্বস প্রকাশিত আমেরিকার ধনী ব্যক্তিদের ৪০০ জনের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে তার নাম। অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট পদ হারানোর পর ডোনাল্ড ট্রাম্প গরিব হয়ে পড়লেন। ২৫ বছরের প্রথম দিনই এই তালিকা থেকে বাদ পড়লেন।
তবে ট্রাম্পের এই পতনের আভাষ আগেই পাওয়া গিয়েছিল। গত বছর যখন এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল সেই সময়ই দেখা গিয়েছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম রয়েছে একেবারে শেষের দিকে। তিনি সেই সময় এই তালিকায় ৩৩৯ নম্বরে ছিলেন।
যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই সম্পত্তির পরিমাণ কমে যাওয়ার পিছনে প্রেসিডেন্ট পদ হারানোর কোন সম্পর্ক নেই। আসলে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই তার সম্পত্তির পরিমাণ কমতে থাকে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ছাড়াও এই একই পরিস্থিতি হয়েছে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রেও। তবে অন্যান্য ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা বিভিন্ন ভাবে শুরু করেন এবং সেই ক্ষতি পূরণ করেন। কিন্তু এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি প্রাক্তন এই প্রেসিডেন্ট। যে কারণে তার অদূরদর্শিতার ফলস্বরূপ এমন সম্পত্তির পতন হয়েছে।
ফোর্বস-এর মতে গত ৫ বছর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামনে সবচেয়ে বড় সুযোগ ছিল অন্য খাতে বিনিয়োগ করার। কিন্তু ট্রাম্প তা করেননি। তারা মনে করেন ট্রাম্পকে আরও সাবধানে পা বাড়ানো উচিত ছিল। নিজের স্থবির সম্পত্তি বিক্রি করতে নারাজ থাকার দরুন ট্রাম্পকে হারাতে হয়েছে ২ বিলিয়ন ডলার। আর এরপরই তিনি ফোর্বস-এর ধনকুবেরের তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন।