উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ভারতবর্ষের অত্যন্ত বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। তাকে যারা অনুসরণ করেন তাদের মতে, তিনি একজন পবিত্র মানুষ, একজন প্রকৃত হিন্দ একজন পুনর্জন্ম নেওয়া দেবতা বা স্বয়ং ভগবান। দেখা যাচ্ছে, একদল মানুষ যেমন তাকে ভালোবাসেন, আবার আরেক দল একইভাবে ঘৃণাও করেন। সেই একদল মানুষ তাকে এতটাই শ্রদ্ধা করেন যে, তার বুলডোজার নীতিতে তারা মত্ত হয়ে উঠেছেন। যদিও সুপ্রিম কোর্ট থেকেও এটি বন্ধ করার নির্দেশ এসেছে। আর এই নীতির কারণে সমালোচকরা তাকে ভারতের সবচেয়ে বিভাজনকারী এবং অপমানজনক রাজনীতিবিদ হিসেবে বর্ণনা করে থাকেন।
যোগী আদিত্যনাথ পরপর দুবার উত্তরপ্রদেশে বিপুল ভোটে জিতেছেন। যদিও কিভাবে জিতেছেন সেটি এখনো ধোঁয়াশায়। তবে তার বুলডোজার মডেল উত্তর প্রদেশে এখন ভীষণ জনপ্রিয়। বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক হিংসার পরই উত্তরপ্রদেশে দেখা যায় এই বুলডোজার রাজনীতি প্রয়োগ করা হচ্ছে। যারা বিক্ষোভ করেন, তাদের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয় প্রশাসনের তরফ থেকে। এর মাধ্যমে নাকি বিক্ষোভকারীদের শায়েস্তা করা যায়।
এই বুলডোজার রাজনীতি এতটাই জনপ্রিয় হয়েছে যে, এই বুলডোজার নীতি ছড়িয়ে গিয়েছে মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি, উত্তর খণ্ডের মতো রাজ্য গুলিতেও। তাই এবার উত্তরপ্রদেশের এক বিয়েতে বুলডোজার দিয়ে অবাক করে দিলেন এক কনের বাবা। এরকম অভিনব উপহারে অবাক সোশ্যাল মিডিয়ার একাংশ। কিছু কিছু নেটিজেনরা অবশ্য এ বিষয়টি নিয়ে বেশ মজাই পেয়েছেন।
নতুন জামাইকে বুলডোজার উপহার দিয়ে কনের বাবা বলেছেন, গাড়ি দিলে তো সেটি সব সময় দাঁড়িয়েই থাকতো, কোনো কাজে লাগতো না। কিন্তু এটি কাজে লাগবে। এ বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে অনেক কথা বলেছেন। একজন বলেছেন, কনের বাবা খরচা তো করেননি বরং নিয়োগ করেছেন। আবার একজন প্রশ্ন করেছেন, এটি উপহার নাকি যৌতুক? আর একজন বলেছেন, খুবই ভালো রোজগারের উপায় বলে দিলেন নতুন জামাইকে। আর আমাদের সমাজ কিভাবে দ্রুত বদলে যাচ্ছে এটা তারই প্রমাণ। আরও একজন বলেন প্রতিটা ঘরে ঘরে এরকম শ্বশুর হওয়াই দরকার।
यूपी में #बुलडोजर_मॉडल की धूम
हमीरपुर की एक शादी में उपहार स्वरूप दूल्हा योगेंद्र को बुलडोजर मिला है..
लड़की का पिता बोला कार देते तो खड़ी रहती, बुलडोजर करेगा काम, मेरी बिटिया पायेगी दाम-https://t.co/VWbgectOCK… pic.twitter.com/y9YeZIG68Q
— Kuldeep Bhardwaj ?? (@KuldeepSharmaUP) December 17, 2022
এইবার ভোটের আগে উত্তরপ্রদেশে মন্দির গড়া নিয়ে কোন আবেগ তৈরি করতে পারেনি বিজেপি সরকার। কিন্তু এই মন্দির কে কেন্দ্র করেই যে উন্নয়ন করা সম্ভব এটা জনগণকে বোঝানোই ছিল আদিত্যনাথ-এর একমাত্র কাজ। এবং যার দ্বারা তিনি আবার ভোটে জিততে পারবেন। এরই মাঝে করোনা চলে আসায় ঝিমিয়ে পড়ে উত্তরপ্রদেশ রাজ্যটি। আর তারপরে অযোধ্যার রাম মন্দির ও বেনারসিতে বারানসিতে কাশি বিশ্বনাথ মন্দিরের করিডোর তৈরি করে অর্থনীতিতে কিছুটা উন্নত হতে পেরেছে যোগী সরকার। তাই অনেক সমালোচক মনে করছেন, তার হিন্দু রাষ্ট্র তৈরি করার মনোভাব সঙ্গে কিছু কর্মসংস্থান ও বাণিজ্যিক বিষয়ে কাজ করে দ্বিতীয়বার এই রাজ্যে জয়ী হয়েছে আদিত্যনাথ।