চিকেন টিক্কা তো অনেক খান, কিন্তু স্রষ্টা কে জানেন! সদ্য প্রয়াত সেই মহান

Antara Nag

Updated on:

Advertisements

চিকেন টিক্কা মশালা একটি জনপ্রিয় ও সুস্বাদু খাবার। আমরা কমবেশি সকলেই ভালোবাসি এই পদটি। প্রায়শই আমরা রেস্তোরাঁয় গিয়ে বা বাড়িতে বানিয়ে এটি খেয়ে থাকি। কিন্তু কোনদিন ভেবে দেখেছেন কি এই পদটি যিনি বানিয়েছেন তার নাম কি? তার বাড়িই বা কোথায়? না জেনে থাকলে জেনে নিন এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে। তার নাম আলি আহমেদ আসলাম। তিনিই প্রথম তৈরি করেছিলেন এই খাবারটি। গোটা বিশ্বে চিকেন টিক্কার স্রষ্টা হিসেবে খ্যাত এই ব্যক্তি বৃহস্পতিবার, ২২ শে ডিসেম্বর ৭৭ বছর বয়সে মারা যান।

Advertisements

পাকিস্তানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এই আলি আহমেদ আসলাম। খুব অল্প বয়সেই তিনি দেশ ছেড়ে তার পরিবার নিয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে। ১৯৬৪ সালে গ্লাসগোতে নিজের একটি রেস্তোরাঁ খোলেন তিনি। নাম দেন ‘শিশ মহল’। নিজের তৈরি রেস্তোরাঁতেই ১৯৭০ সালে আলি জন্ম দেন ব্রিটিশ সহ গোটা বিশ্বের অন্যতম প্রিয় খাবার ‘চিকেন টিক্কা মশালা’র।

Advertisements

তাঁর মৃত্যুর পর তাকে সম্মান জানাতে ৪৮ ঘণ্টা ‘শিস মহল’ বন্ধ রাখা হয় বলে জানা গিয়েছে। অনেক দিন আগের একটি সাক্ষাৎকারে আসলাম বলেছিলেন, চিকেন টিক্কা মশালা তার রেস্তোরাঁতেই প্রথম শুরু হয়। তিনি বলেন, প্রথমে তিনি চিকেন টিক্কা তৈরি করেছিলেন। তারপর একদিন এক গ্রাহক তাকে বলেন এই পদটি ভীষণ শুকনো। তাই তার পর তিনি চিকেন টিক্কার সঙ্গে দই, ক্রিম এবং মশলা দিয়ে পুনরায় এই পদটি আবার বানান।এবং সৃষ্টি করেন বর্তমানের চিকেন টিক্কা মশালা।

Advertisements

আসলে অনেক ছোটো বেলাতেই আসলাম তার পুরো পরিবারের সাথে গ্লাসগোতে চলে আসেন। এখনো তার সাথেই থাকে তার পরিবারের লোকজন। একজন সফল ব্যবসায়ী হওয়ার পাশাপাশি তিনি একজন পারিবারিক মানুষও। তিনি পরিবারের সাথে হইহই করে বাঁচতে ভালোবাসতেন। সাথেই তার রেস্তোরাঁটিও ছিল প্রাণের চেয়ে প্রিয়। তাই তিনি তার দিনের বেশির ভাগ সময় রেস্তোরাঁ ও বাড়িতেই ব্যয় করতেই পছন্দ করতেন।

আহমেদ আসলাম আলির ভাইপো আন্দলিব আহমেদ জানান, আসলাম নাকি প্রতিদিনই তার রেস্তোরাঁতেই খেতেন। রান্না এবং রেস্তোরাঁ ছিল তার জীবনের অঙ্গ। তবে আসলাম প্রতিদিন চিকেন টিক্কা মশালা খেতেন কিনা সেটা ঠিক করে বলতে পারেননি তিনি। গত বছর থেকেই আসলাম অসুস্থ ছিলেন বলে জানান তাঁর ভাইপো। অসুস্থ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তিও করতে হয়। আন্দলিব বলেন, তিনি যখন আসলামের সাথে দেখা করতে হাসপাতালে যান, তখন আসলাম তাকে বলেন সে এখানে সময় নষ্ট না করে যেনো তার কাজে যায়। তিনি এতটাই নিজের কাজ কে ভালো বাসতেন।

Advertisements