নিজস্ব প্রতিবেদন : কর্মীদের ছুটি (Leave) নিয়ে এবার নতুন নিয়ম জারি হতে পারে। সর্বভারতীয় একটি সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী এমনটাই জানা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সংস্থা এবং কর্মী দুই পক্ষকেই বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। একদিকে যেমন কর্মীদের জন্য বেশ কিছু নিয়ম বেঁধে দেওয়া হতে পারে, ঠিক সেই রকমই আবার সংস্থাগুলিকেও সেই সকল নিয়ম মেনে চলতে হবে।
সর্বভারতীয় একটি সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, পেশাগত সুরক্ষা, স্বাস্থ্য ও কাজের পরিবেশ সংক্রান্ত শ্রমবিধিতে (Labour Code) বলা হয়েছে, যেকোনো অর্থ বর্ষে একজন কর্মী ৩০ দিনের বেশি পেড লিভ (Paid Leave) জমিয়ে রাখতে পারবেন না। এক্ষেত্রে যদি দেখা যায় কোন সংস্থায় কোন কর্মীর পেড লিভ সংখ্যা ৩০ দিনের বেশি হয়ে থাকে তাহলে ওই কর্মীকে সংস্থার তরফ থেকে বাড়তি টাকা দিতে হবে। এটি একেবারেই বাধ্যতামূলক হতে পারে।
পেশাগত সুরক্ষা, স্বাস্থ্য এবং কাজের পরিবেশ সংক্রান্ত শ্রমবিধির ৩২ নম্বর ধারায় ২০২০ সালে বার্ষিক ছুটি নেওয়া, ক্যারি ফরওয়ার্ড করা সংক্রান্ত বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে একজন কর্মী বকেয়া ছুটির সর্বোচ্চ ৩০ দিন পরবর্তী ক্যালেন্ডারের জন্য ক্যারি ফরওয়ার্ড করতে পারবেন। এক্ষেত্রে যদি কোন বার্ষিক ক্যালেন্ডারের শেষে দেখা যায় ওই কর্মীর ছুটির সংখ্যা ৩০ দিনের বেশি হয়ে থাকে তাহলে তাকে এনক্যাশমেন্ট করা হবে।
অর্থাৎ একটি আর্থিক বর্ষে বা বার্ষিক ক্যালেন্ডারে ছুটির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ৩০ টি জমা রেখে তা পরবর্তী ক্যালেন্ডারের জন্য ক্যারি ফরওয়ার্ড করা যাবে। বাকি অর্থাৎ ৩০ দিনের বেশি যে কয়টি দিন থাকবে সেই কয়টি দিনকে এনক্যাশমেন্ট করতে বাধ্য হবে সংস্থা। এক্ষেত্রে যদি ওই কর্মী কাজ করে থাকেন তাহলে তাকে বাড়তি টাকা দেবে সংস্থা।
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যেহেতু কোন কর্মীর পেড লিভ ৩০ দিনের বেশি হলে তাকে আলাদা করে টাকা দিতে হবে, তাই সংস্থাগুলি সবসময় চেষ্টা করবে এই ধরনের বেশি ছুটি থাকা কর্মীদের ছুটিতে পাঠিয়ে পুরো বিষয়টিকে মেকআপ করার। আর তা না হলে কর্মীদের পিছনে সংস্থাগুলির খরচ বেড়ে যাবে। তবে এখানে কর্মী বলতে ঠিক কাদের বোঝানো হয়েছে তা স্পষ্ট করে প্রতিবেদনে কিছু জানানো হয়নি। তবে বলা হয়েছে এই শ্রমবিধি তাদের জন্য কার্যকর হবে যারা ম্যানেজেরিয়াল বা প্রশাসনিক বা পর্যবেক্ষক পদে কর্মরত নন। আবার এই নিয়ম ঠিক কবে থেকে কার্যকর হবে তা সম্পর্কেও স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি।