Restaurant Food Cost is going to increase in the new financial year: কম খরচে রেস্তোরাঁয় বসে বা অর্ডার দিয়ে বাড়িতে আনিয়ে খাবার দিন শেষ। এবার থেকে খাবার অর্ডার দিতে গেলে বা রেস্তোরাঁয় বসে খেতে গেলে দিতে হবে অতিরিক্ত টাকা। যার ফলে টান পড়তে চলেছে সাধারণ মানুষদের পকেটে। কিন্তু কেন রেস্তোরাঁ আবার ডেলিভারির খাবারে চড়া দাম (Restaurant Food Cost) বৃদ্ধি? নেপথ্যে কফি, চিনি, পাম তেলের দাম বৃদ্ধি।
করোনাকালীন সময়ে সমস্ত জিনিসেরই দাম বৃদ্ধি হয়েছিল। তার পরবর্তী সময়ে রেস্তোরাঁর খাবারে সেরকম ভাবে দাম বৃদ্ধি পায়নি। রেস্তোরাঁ মালিক বা এই শিল্পের সাথে যুক্ত কর্মীদের দাবি, গত দেড়-দু বছরে রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে কাস্টমারদের অতিরিক্ত খরচ করতে হয়নি। তবে দেড়-দু বছরের মধ্যে এই প্রথম রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে বা অর্ডারই খাবারের (Restaurant Food Cost) পিছনে কাস্টমারদের ব্যয় করতে হবে অতিরিক্ত ৫-৮ শতাংশ টাকা। যা অর্থবর্ষের প্রথম মাস থেকেই চালু হবে বলে জানা গিয়েছে।
তবে এই কুইক সার্ভিস বা রেস্তোরাঁ খাবারের চড়া দাম বৃদ্ধির কারণ হলো পাম তেল, কফি এবং চিনির আকাশ ছোঁয়া দাম। খবর বলছে ২০২৪ সালের গত তিন মাসের মধ্যেই হু হু করে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে কোকো এবং কফির। অপরদিকে ১০ শতাংশ দাম বেড়েছে পাম তেলের। যার ফলে দেশীয় বাজারের বিভিন্ন পণ্য সামগ্রীতে তার প্রভাব পড়ছে। তাই রেস্তোরাঁ মালিক এবং কোকো কফির মালিক এবং আধিকারিকরা জানাচ্ছেন চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকেই খাবারের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা চলছে।
আরও পড়ুন ? 100 Rupees Note: বাজারে আসছে নতুন ১০০ টাকার নোট! মিলবে আরও বেশি সুবিধা
কোকোর দাম বৃদ্ধির পিছনে রয়েছে কোকো ফলনের হ্রাস। যেসব দেশগুলিতে কোকো উৎপাদন ভালো হয় সেই সব দেশগুলিতে কোকো উৎপাদনের ফলন কমে গিয়েছে। দুরবস্থা দেখা দিয়েছে চাষীদের মধ্যে। যার ফলে বিশ্ববাজারে প্রতি ১টন কোকোর দাম হয়েছে ১০ হাজার ইউএস। যার ফলে আগের বছরের তুলনায় নতুন বছর কোকোর দাম ১৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা ৪৫ বছরে হয়নি। কোকো বাটারের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে ৩০০ শতাংশ। যার ফলে চকলেট উৎপাদনের অবস্থাও অত্যন্ত সংকটজনক। এর জন্য মিল্ক চকলেটের উৎপাদন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সাথে দাম বৃদ্ধি হতে পারে ডার্ক চকলেটের। যা জানিয়েছেন হোল ট্রুথের প্রতিষ্ঠাতা এবং চিফ এগজিকিউটিভ শশাঙ্ক মেহতা।
এই চড়া দাম বৃদ্ধির কারণে ফুড প্যাকেজ সংস্থাগুলিও ফুডের প্যাকেটের সাইজ ছোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি সব ধরনের কাস্টমারদের কথা মাথায় রেখে অনেক রেস্তোরাঁ খাবারের দাম একই রেখে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। অপরদিকে খাবারের দাম (Restaurant Food Cost) বৃদ্ধি নিয়ে কফি চেইন দ্য বিগ চিল কাফে এবং ডেজ়ার্ট চেইন দ্য বিগ চিল কেকারির মালিক অসীম গ্রোভার বলেছেন, যে হারে পণ্যের দাম বাড়ছে তাতে করে খরচ এবং লাভের অঙ্কের ভারসাম্য বজায় রাখা তাদের পক্ষে অত্যন্ত কঠিন। যা তারা সামনাসামনি উপলব্ধি করছে।