নিজস্ব প্রতিবেদন : রেশন (Ration) ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশের প্রতিটি মানুষের খাদ্য নিশ্চিত করা হয়ে থাকে। দেশের প্রতিটি নাগরিকের খাদ্যের অধিকারের পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রকল্প বছরের পর বছর ধরে চলছে। যে প্রকল্পের আওতায় একসময় উপভোক্তা অনুযায়ী বিনামূল্যে অথবা সস্তায় খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হলেও এখন পুরোপুরিভাবে বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে।
করোনাকালে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে দেশের ৮০ কোটির বেশি রেশন উপভোক্তাদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার ঘোষণা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণী অন্ন যোজনার আওতায় এই প্রকল্প চালু করা হয়। যদিও করোনাকাল পেরিয়ে গেলেও এখনো এই পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে এবং আগামী পাঁচ বছর দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন ? Ration Card Cancellation: মিলবে না বিনামূল্যের রেশন! মে মাস থেকেই মাথায় হাত পড়বে এই সকল গ্রাহকদের
অন্যদিকে রেশন দোকানগুলিকে (Ration Shop) নিয়ে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে এমনটাই শোনা যায়। ঠিক সেইরকমই এবার আরও একটি পরিকল্পনার কথা শোনা গেল। যে পরিকল্পনা অনুযায়ী এবার রেশন দোকানগুলিকে নিউট্রিশন হাবে তৈরি করা হবে। রেশন দোকানগুলিতে নিউট্রিশন হাবে তৈরি করার ফলে শুধু চাল, গম নয়, এর পাশাপাশি পাওয়া যাবে দুধ, ঘি, ছানা সহ বিভিন্ন ধরনের দুগ্ধজাত সামগ্রী।
কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে কর্পোরেট ধাঁচে রেশন দোকানগুলিকে নতুন রূপ দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। শুধু পরিকল্পনার গ্রহণ করা নয়, এর পাশাপাশি পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে বেশ কয়েকটি রাজ্যের ১৫টি করে রেশন দোকানকে এমন রূপ দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যে সকল রাজ্যের রেশন দোকানগুলিকে এইভাবে কর্পোরেট ধাঁচে নতুন রূপ দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে সেই সকল রাজ্যগুলি হল উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাত এবং কর্ণাটক। তবে এই পাইলট প্রোজেক্টের অংশীদার এখনই হচ্ছে না বাংলা। নতুন এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে যেমন সহজেই দুগ্ধজাত বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাদ্য সামগ্রী হাতের কাছে পাওয়া যাবে, ঠিক সেই রকমই পাওয়া যাবে অনেকটা সস্তায় বলেই আশা করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি রেশন ডিলাররা এই সকল খাদ্য সামগ্রী বিক্রি করে আলাদা ভাবে বাড়তি মুনাফা লাভের মুখ দেখবেন।