This country is the only mosquito free country in the world: মশা এমন একটি কীট বিশ্বজুড়ে যার দাপটে অস্থির মানুষ। ভাববেন না শুধু ভারতেই এর দাপট আছে মশার দাপট থেকে বাঁচতে পারেনি তাবড় তাবড় দেশ যেমন, সুইজারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড কিংবা আমেরিকা। কিন্তু জানেন কি এই পৃথিবীতে এমন একটি দেশ আছে যেখানে আপনি একটিও মশা পাবেন না (Mosquito Free Country)। এমনকি জানলে অবাক হবেন পোকামাকড় বা সাপও নেই এখানে। আশ্চর্য হবেন না, এটাই সত্যি। মশাহীন দেশটির নাম হল আইসল্যান্ড।
আইসল্যান্ড এ গেলে আপনাকে মশার কষ্ট পেতে হবেনা। এটি বিশ্বের একমাত্র মশামুক্ত দেশ (Mosquito Free Country)। কেন এখানে একটিও মশা নেই সেই কারণ আদৌ আপনার জানা আছে? এই দেশটি আন্টার্কটিকার মতো শীতল নয়। আবার এখানে পুকুর, হ্রদ কিংবা জলাশয়ের অভাব নেই, তাই মশার বংশবৃদ্ধি করার সমস্তরকম সুবিধা এখানে আছে। আইসল্যান্ডের প্রতিবেশী দেশ নরওয়ে, ডেনমার্ক, স্কটল্যান্ড এমনকি গ্রীনল্যান্ডেও মশার উৎপাত আছে। এই দেশগুলির কাছাকাছি অবস্থিত আইসল্যান্ড, সুতরাং এখানে মশার উপদ্রব বেশি হবার কথা।
আপনারা হয়তো অনেকেই জানে না যে পৃথিবীতে মশার বয়স ৩০ মিলিয়ন বছরের বেশি। বিশ্বব্যাপী মশার প্রজাতির সংখ্যা ৩,৫০০ টিরও বেশি। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, মশা ভেজা আর্দ্র পরিবেশে ভালো থাকতে পারে তাই ঠান্ডা পরিবেশেও এদের কোন অসুবিধা হওয়ার কথা না। মশার প্রজননের জন্য আইসল্যান্ডের জল এবং মাটির রাসায়নিক গঠন কিন্তু উপযুক্ত নয় (Mosquito Free Country)। বিজ্ঞানীরা বহু চেষ্টা করেও এই রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। আইসল্যন্ডের শুধুমাত্র একটি জায়গায় মশা পাওয়া যায়। আর সেটি হল আইসল্যান্ডিক ইনস্টিটিউট অফ ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম, যেখানে তাদের দেহাবশেষ বয়ামের মধ্যে সংরক্ষিত আছে।
পরিসংখ্যান করলে জানতে পারবেন যে, প্রাপ্ত বয়স্ক মশার জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ প্রতিদিন মারা যায়। কিভাবে মশার প্রজাতি বেঁচে থাকবে তা নিশ্চিত করার জন্য মহিলারা ডিম পাড়ার মধ্য দিয়ে এই ক্ষতিপূরণ করে। পুরুষ মশা কিন্তু ৬-৭ দিন বাঁচে। মশা বিভিন্ন রকম কঠিন রোগ যেমন, ম্যালেরিয়া, লিম্ফ্যাটিক ফাইলেরিয়াসিস, জিকা, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস, চিকুনগুনিয়া এবং ডেঙ্গুর মতো মারাত্মক রোগ ছড়ায়।
আরও পড়ুন ? Snake Free State in India: সাপ হোক বা কুকুর! একমাত্র ভারতের এই এলাকায় নেই কোনো অস্ত্বিত্ব
মানুষ মশার এই বিশাল প্রজাতিকে নির্মূল করতে সক্ষম হবে এটা মনে করে নেওয়া একেবারেই অসম্ভব। সাধারণত ৩,৫০০টিরও বেশি পরিচিত মশার প্রজাতির মধ্যে মাত্র ৬ শতাংশ স্ত্রী মশা মানুষকে কামড়ায় এবং তাদের অর্ধেকই মানুষের মধ্যে রোগের সৃষ্টি করে।
যদি কোনো কারণে পৃথিবী থেকে মশা নির্মূল হয় তাহলে অন্যান্য পোকামাকড় এবং মাছ যারা তাদের খায় তারাও কিন্তু নির্মূল হয়ে যেতে বাধ্য। মশা নির্মূল হলে খাদ্য শৃংখলের ওপরে এর প্রভাব পড়বে। মশা না থাকায় পরাগায়ন শেষ হয়ে যাবে। পরগায়ন প্রক্রিয়ার অধীনে মশা উদ্ভিদের পরাগ বহন করে এবং বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেয়। আর এরফলে বিভিন্ন জায়গায় গাছ জন্মায়। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন না মশা ছাড়া কিছু উদ্ভিদ প্রজাতির বংশবৃদ্ধির জন্য সংগ্রাম করতে হবে। বস্তুতন্ত্রের সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে এটি যথেষ্টভাবে প্রভাবিত করে।