By looking at the sign above the train ticket, you can understand which stage it is in: দূরবর্তী ভ্রমণের জন্য টেনপথ বেছে নিয়েছেন? টিকিট কাটার পর বুঝতে পারছেন না সেই ট্রেনে আপনার জন্য আসন সংরক্ষিত নাকি অপেক্ষমান? টিকিটের মধ্যেই রয়েছে তার উত্তর। অনলাইন বা অফলাইন প্রত্যেক টিকিটেই থাকে PNR নম্বর। ১০ সংখ্যার এই নম্বরের মাধ্যমে জানা যায় ট্রেনের আসন, গন্তব্যস্থান সমস্ত কিছু। মূলত প্রত্যেক শব্দের প্রথম অক্ষর দিয়ে সাংকেতিকভাবে লেখা থাকে টিকিটের (Train Ticket Sign) উপরে। কিন্তু তা কি করে বুঝবেন? সেই বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষ তরফে ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে। আজকের এই প্রবন্ধে PNR নম্বরের সাংকেতিক চিহ্নর ব্যাখ্যা জানানো হয়েছে। কোন চিহ্ন দ্বারা কি বোঝানো হয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
তবে টিকিটের এই খুঁটিনাটি জানতে পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ১৩৯ নম্বরে মাধ্যমে PNR-এর স্ট্যাটাস চেক করতে হবে। যা মূলত ম্যাসেজিং সিস্টেমের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। ম্যাসেজের মাধ্যমে জানানো হবে টিকিট সংরক্ষিত নাকি অপেক্ষমান বা অন্যান্য। তারপরে যাত্রী ট্রেনে উঠে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবেন। আসুন সময় নষ্ট না করে সেই সাংকেতিক চিহ্নগুলি (Train Ticket Sign) সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
CNF: টিকিট কাটার পর টিকিটে যদি দেখেন ‘সিএনএফ’ লেখা তাহলে বুঝবেন আপনার আসন সংরক্ষিত। অর্থাৎ সিএনএফ কথার অর্থ হলো কনফার্ম।
RAC: টিকিটে লেখা ‘আরএসি’ সংকেতের অর্থ হলো ‘রিজার্ভেশন এগেনস্ট ক্যানসেলেশন’। এটা থেকে বোঝানো হয় যাত্রীর আসন সংরক্ষিত নয়। অন্য কোনো যাত্রীর টিকিট ক্যানসেল হলে তবেই অপেক্ষমান যাত্রী এই টিকিটের দ্বারা সেই আসন পাবেন। অথবা অন্য কোনো যাত্রীর সাথে আসন ভাগাভাগি করে সফর করতে পারেন।
GNWL: দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিটে ‘জিএনডব্লিউএল’ লেখার অর্থ হল “জেনারেল ওয়েটিং লিস্ট”। এটি ওয়েটিং লিস্টের তালিকার মধ্যে অন্যতম। এই তালিকায় যারা থাকেন তাদের জন্য আসন নির্দিষ্ট থাকে না। কোনো যাত্রীর টিকিট ক্যানসেল হলে তবেই ক্রমানুসারে সংরক্ষিত আসনের টিকিট পান এই তালিকার যাত্রীরা।
RGNWL: টিকিটে ‘আরজিএনডব্লিউএল’ (Train Ticket Sign)-এর লেখার অর্থ হল আপাতত অপেক্ষমান যাত্রী। তবে এই ধরনের লেখা থাকলে টিকিট বেশিরভাগই নিশ্চিত হয়ে যায়।
আরও পড়ুন ? Train Ticket: বিনামূল্যে মিলবে কনফার্ম টিকিট, IRCTC ছাড়াও রয়েছে আরও ৪ অ্যাপ
CKWL/TKWL: টিকিটের উপর এই সংকেত ব্যবহার করার অর্থ হলো ‘তৎকাল কোটা’। অর্থাৎ জরুরি প্রয়োজনে সাধারণ টিকিটের দামের তুলনায় বেশি টাকা দিয়ে এই টিকিট কাটতে হয়। এটা আগে থেকে হয় না। ট্রেন রওনা দেওয়ার দু-একদিন আগেই এই সুযোগ পাওয়া যায়।
RSWL: যেসব যাত্রীরা ট্রেন ছাড়ার মধ্যবর্তী স্টেশন থেকে টিকিট কাটেন তাদের টিকিটে এই ধরনের লেখা থাকে। এর অর্থ হল মধ্যবর্তী স্টেশন থেকে কাটা টিকিটের অপেক্ষমান তালিকা। এই ধরনের টিকিট নিশ্চিত হওয়ার খুব একটা সম্ভাবনা থাকে না। কারণ যে স্টেশন থেকে ট্রেন যাত্রা শুরু করবে সেই স্টেশনে যাত্রী ভর্তি হয়ে গেলে এই তালিকা দেওয়া হয় না। ভর্তি না হলে তবেই পাওয়া যায়।
PQWL: মূলত যেসব যাত্রীরা যাত্রা শুরুর স্টেশন থেকে গন্তব্য স্টেশনের আগে বা মধ্যবর্তী স্টেশনে নামেন তাদের টিকিটে এই ‘পিকিউডব্লিউএল’ সংকেত দেওয়া হয়। যার অর্থ হলো “পুলড কোটা ওয়েটিং লিস্ট”। মূলত ছোট ছোট রেল স্টেশনগুলির মধ্যে এই অপেক্ষমান তালিকা প্রকাশ করা হয়।
RLWL: যেসব যাত্রীরা মধ্যবর্তী স্টেশন থেকে যাত্রাপথে কোনো বড় শহরে যাওয়ার জন্য টিকিট কাটেন তাদের টিকিটে এই ‘আরএলডব্লিউএল’ লেখা থাকে। যার অর্থ দূরবর্তী অবস্থানের অপেক্ষমান তালিকা। তবে এই টিকিট সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার প্রাপ্ত। তবে কোনো সংরক্ষিত আসনের যাত্রী যদি টিকিট ক্যানসেল করে তবেই এই টিকিট নিশ্চিত হয়।
RQWL: মধ্যবর্তী স্টেশনে সফর করার টিকিটে PQWL (Train Ticket Sign) লেখা থাকে। তবে মধ্যবর্তী স্টেশনে সফরের ক্ষেত্রে এই দুই কোটা তালিকাভুক্ত না হলে “আরকিউ ডব্লিউএল” তালিকাভুক্ত করা হয়। যার অর্থ হলো অনুরোধের অপেক্ষমান তালিকা।