Online Class HS: পুজোর ছুটিতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সুখের দিন শেষ! নয়া পরিকল্পনা সংসদের

Madhab Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি বছর মাধ্যমিক পাশ করে যে সকল পড়ুয়ারা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হবে তারা নতুন সিলেবাস অনুযায়ী পড়াশোনা শুরু করবে। তাদের সিলেবাসে এমন বদল আনা হয়েছে মূলত পরীক্ষা পদ্ধতি বদলে যাওয়ার কারণে। কেননা এবার একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা হবে সেমিস্টার পদ্ধতিতে। আর এই সকল বদলানোর পাশাপাশি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ (WBCHSE) আরও একের পর এক পরিকল্পনা গ্রহণ করছে।

Advertisements

প্রতি শিক্ষাবর্ষেই গরমের ছুটি থেকে শুরু করে পুজোর ছুটি ও অন্যান্য বিভিন্ন সরকারি ছুটি থাকে পড়ুয়া থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। কিন্তু এবার সংসদ যে পরিকল্পনা গ্রহণ করছে সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী পুজোর ছুটিতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সুখের দিন শেষ হতে চলেছে। এই সুখের দিন শেষ হতে চলেছে মূলত সংসদের তরফ থেকে জারি করা একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর অ্যানুয়েল ওয়ার্কিং প্ল্যান জারি করার পরিপ্রেক্ষিতে।

Advertisements

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে রাজ্যের সমস্ত রাজ্যের প্রত্যেক স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের যে অ্যানুয়াল ওয়ার্কিং প্ল্যান দেওয়া হয়েছে সেই প্ল্যান অনুযায়ী প্রথম থেকেই অনলাইন ক্লাসে (Online Class HS) জোর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকি এই বিষয়ে সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, শিক্ষাবর্ষের শুরু অর্থাৎ মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে যেমন অনলাইন ক্লাস নেওয়া হবে ঠিক সেই রকমই তাদের তরফ থেকে প্ল্যান করা হচ্ছে পুজোর টানা ছুটির মাঝেও অনলাইন ক্লাস নেওয়ার।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Webinar about HS Syllabus: উচ্চমাধ্যমিকের নতুন সিলেবাস, সেমিস্টার বুঝতে চিন্তার দিন শেষ! বিশেষ বন্দোবস্ত শিক্ষাদপ্তরের

তবে মে মাসে অনলাইন ক্লাস নেওয়ার বিষয়ে জোর দেওয়া হলেও পুজোর ছুটিতে অনলাইন ক্লাস নেওয়া নিয়ে কতটা জোর দেওয়া হবে তা সম্পর্কে এখনই নিশ্চিতভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে সংসদের পরিকল্পনায় রয়েছে পুজোর টানা ছুটির মাঝে অর্থাৎ ১৭ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ১৪ দিন যাতে অনলাইন ক্লাস নেওয়া যায়। আর এমনটা হলে পুজোর ছুটিতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আর সুখের দিন থাকবে না।

এমনিতেও প্রাথমিক স্তরের সঙ্গে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পুজোর ছুটিতে বৈষম্য রয়েছে। কেননা প্রাথমিক স্তরে লক্ষ্মী পুজোর পরই স্কুল খুলে যায় এবং আবার কালীপুজোর সময় বন্ধ হয়। কিন্তু উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের স্কুলগুলি ওই সময় বন্ধ থাকে। স্বাভাবিকভাবেই যদি এই ছুটিতে অনলাইনে ক্লাস শুরু হয় তাহলে ওই বৈষম্য আর থাকবে না। অন্যদিকে পুজোর ছুটিতে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার এমন সিদ্ধান্তের পিছনে রয়েছে নতুন সিলেবাস এবং নতুন পরীক্ষা পদ্ধতি অনুযায়ী কতক্ষণ ক্লাস নিতে হবে তার কনট্যাক্ট আওয়ার্স তৈরি করে দেওয়া। প্রথম সেমিস্টারের জন্য প্রত্যেক বিষয়ে ১০০ ঘন্টা, দ্বিতীয় সেমিস্টারের জন্য ৮০ ঘন্টা এবং টিউটোরিয়ালের জন্য ২০ ঘন্টা সময় বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। আর এরই ফলে পুজোর ছুটিতেও অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার পরিকল্পনা চলছে।

Advertisements