The state has big offers on beer sales during polling season: দেশ জুড়ে চলছে লোকসভা ভোট। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সেরার লড়াইয়ে নেমেছে। বিয়ারের বিক্রি (Beer Sales) বাড়ানোর জন্য লোকসভা ভোটকেই ব্যবহার করছে কর্নাটকের এক পানশালা। বিক্রির জন্য প্রচার করা হচ্ছে অবাক করা একটি অফার। লোকসভা ভোটে অংশগ্রহণ করুন আর সস্তায় ঠান্ডা বিয়ারে চুমুক দিন। ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের হুব্বাল্লিতে। মদের বিক্রি বাড়ানোর জন্য হুব্বাল্লীর এক পানশালা লোকসভা ভোটকে হাতিয়ার করে অদ্ভুত এক কৌশল অবলম্বন করেছে। এই ঘটনা সামনে আসতেই হইচই পড়ে গেছে সমগ্র রাজ্যজুড়ে।
২০২৪ লোকসভার তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এই দিন কর্নাটকের ১৪ টি আসনে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়। বিয়ারের বিক্রি (Beer Sales) বাড়ানোর জন্য লোকসভা ভোটের তৃতীয় দফার ভোটের দিনটিকে বেছে নিয়েছে কর্নাটকের হুব্বাল্লীর কেসুগাল রোডের এক পানশালা। না সরাসরি মদ বিক্রির জন্য কোন অফার দেয়নি এই পানশালা। বরঞ্চ লোকসভা ভোটে অংশগ্রহণ করার জন্য উৎসাহী করেছে ভোটারদের। কিন্তু পানশালাটির আসল উদ্দেশ্য তাদের ব্যবসা বাড়ানো।
পানশালাটির পক্ষ থেকে প্রচার করা হয়, শক্তিশালী ভারত গড়তে চাইলে সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে সংসদের দায়িত্ব দিতে আপনারা আপনাদের মূল্যবান ভোট প্রদান করুন। আপনাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে এলাকার দায়িত্ব তুলে দিন যোগ্য সংসদের হাতে। আপনি আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের সঠিক প্রমাণ দেখাতে পারলেই বিয়ারে (Beer Sales) ৩ শতাংশ ছাড় পেতে পারেন। তবে ভোটের কারণে ওই দিন সমস্ত মদের দোকান বন্ধ থাকায়, ৮ ই মে এই অফার চালু থাকবে।
আরও পড়ুন ? Wine-Whiskey-Rum-Beer: রাম, হুইস্কি আর বিয়ারের মধ্যে কোনটি কম ক্ষতি করে! জেনে বুঝে তারপরেই পান করুন
যদিও এই ঘটনা কর্নাটকে প্রথম নয়। দ্বিতীয় দফার ভোটের দিনও ব্যাঙ্গালোরে বহু হোটেল, পানশালা এবং রেস্তোরাঁতে এমন বেশ কিছু অভিনব অফার দেখা গেছে। কালি লাগানো আঙুল দেখাতে পারলেই অভাবনীয় এই অফার গুলো পেতে পারেন গ্রাহকরা। তৃতীয় দফার ভোটের দিন ঘটা এই ঘটনাও প্রায় তেমনই। পানশালাটির মালিক জানান, দয়া করে নিজের ভোট নিজে দিয়ে আসুন। কালি লাগানো আঙুল দেখালেই, বিয়ারের (Beer Sales) দামে পেয়ে যাবেন ৩ শতাংশ ছাড়।
২০২৪ এর লোকসভা ভোটের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণের দিন, নিসর্গ ব্র্যান্ড নামে একটি হোটেল বাটার ধোসা ও ঘি ভাতের সাথে বিনামূল্যে পানীয় অফার করে গ্রাহকদের। হাতে কালি লাগানো আঙুল দেখাতে পারলে এই সুবিধা গ্রহণ করতে পেরেছিলেন গ্রাহকরা। আরেক জায়গায় ভোটের পর দিন ফ্রিতে একমগ করে বিয়ার দেওয়া হয়। কেউ আবার সরাসরি ভোটদাতাদের খাওয়া দাওয়ার উপর ২০ শতাংশ ছাড়ের ঘোষণা করেছেন। এই সমস্ত ছাড় কোন জায়গায় ১ দিন তো কোন জায়গায় ১ সপ্তাহ ধরেও চলেছে। অনেকে মনে করছেন এই সমস্ত ছাড়ের কারণেই কর্নাটকে ভোটের হার অনেকটাই বেড়েছে। দুপুর একটা পর্যন্ত কর্নাটকে ভোট পড়েছে ৪১.৫৯%।