নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারত জুড়ে যে সকল তীর্থক্ষেত্র রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো উড়িষ্যার পুরীর জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple)। যে মন্দিরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিনই হাজার হাজার পর্যটকদের আগমন দেখা যায়। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো এই জগন্নাথ দেব মন্দিরে আসা ভক্তদের মধ্যে বড় অংশ পশ্চিমবঙ্গের।
সম্প্রতি ২৪ বছরের নবীন পট্টনায়কের বিজেডির অধ্যায় শেষ হয়ে এখন সেখানে নতুন অধ্যায় শুরু করেছে বিজেপি। উড়িষ্যায় সরকার পরিবর্তন হতেই জগন্নাথ দেব মন্দির নিয়ে নতুন নতুন পদক্ষেপ নিতে দেখা গেল সেখানকার নতুন সরকারকে। আর এই সকল পদক্ষেপ জগন্নাথ দেবের দর্শনে আসা পর্যটকদের বিপুল সুবিধা দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
উড়িষ্যায় প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বসার পরপরই প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝি পুরীর জগন্নাথ দেব মন্দিরের চার দরজা নিয়ে বিশেষ সম্মতি দিয়েছেন। পুরীর চারটি দরজা খুলে দেওয়ার বিষয়ে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল সেই প্রস্তাবে প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝি সম্মতি দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর এমন সম্মতির পরই মন্দিরের চারটি দরজা খুলে দেওয়া হয় বৃহস্পতিবার থেকে।
অন্যদিকে পুরীর জগন্নাথ দেব মন্দির আজকের নতুন মন্দির নয়। দ্বাদশ শতাব্দীর এই মন্দিরটি বহু প্রাচীন। যে কারণে এই মন্দিরের বিভিন্ন সংস্কার থেকে শুরু করে নানান ধরনের চাহিদা রয়েছে। যে সকল চাহিদা মেটানোর জন্য অবিলম্বে ৫০০ কোটি টাকার তহবিল তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝি। মুখ্যমন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্তের ফলে এবং ঘোষণায় জগন্নাথ মন্দিরের হাল আরো অনেকটাই ফিরবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ওড়িশার জগন্নাথ মন্দিরের যে সকল দরজা রয়েছে সেই সকল দরজা মূলত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল করোনাকালে। সেই সময় মন্দির পুনরায় খোলার পর বিজেডি সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল একটি দরজা খুলে রাখার। তবে পরবর্তীতে করোনা দেশ থেকে পালালেও আর চারটি দরজা খোলার সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার। বিজেপি নির্বাচন শুরু হওয়ার সময় কাল থেকেই মূলত ওই চারটি দরজা খুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ইস্তাহারে। যাতে করে পুণ্যার্থীরা অনেক সুযোগ-সুবিধা পান। আর সেই মতোই এদিন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।