Railways have to pay compensation as Train Late Arrival Penalty: ভারতের বৃহত্তম পরিবহন ব্যবস্থা হল রেল পরিষেবা। প্রতিদিন প্রায় কয়েক হাজার ট্রেন চলাচল করে সারা ভারত জুড়ে। ধনী, গরীব নির্বিশেষে প্রায় সবাই ব্যবহার করেন রেল পরিষেবা। রেল পরিষেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে একাধিক সুবিধার পাশাপাশি রয়েছে বেশ কিছু অসুবিধাও। ট্রেন লেট এর মধ্যে অন্যতম। নিত্য যাত্রীদের কাছে এই সমস্যা খুবই স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন ট্রেন লেট করা যেন একটা স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু লেট করার অপরাধে যদি কর্তৃপক্ষ আপনাকে লেট ফাইন (Late Arrival Penalty) দেয়, তবে কেমন হবে? হ্যাঁ এমনই ঘটনা ঘটছে গুজরাটে।
ট্রেন লেট হওয়া, আর স্টেশনে নিত্য যাত্রীদের ঘন্টার পর ঘন্টা ট্রেনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা। এটা প্রতিটা স্টেশনের, প্রতিদিনকার, খুব স্বাভাবিক একটা ঘটনা। নিত্যযাত্রীরা এই ঘটনাকে স্বাভাবিকভাবে দেখে থাকেন। ট্রেনের সময়সীমার প্রতিনিয়ত অনিয়ম সাধারণ মানুষের কাছে ১ প্রকার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে পরিষেবা দিতে না পারাও একপ্রকার অপরাধ। ক্ষতিপূরণও দিতে হতে পারে। এমন একটি ঘটনা ঘটেছে কিছু বছর আগে গুজরাটে। ২ জন যাত্রীকে রেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে দিতে হয়েছে কয়েক হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ। নির্দিষ্ট সময়ের পর অতিরিক্ত ৩ ঘন্টা দেরি করে আসার কারণে ৭ হাজার টাকা জরিমানা (Late Arrival Penalty) দিতে হয়েছে। টিকিটের দামের সাথে আরও ৯ শতাংশ যোগ করে ফেরত দিতে হয়েছে ২ যাত্রীকে।
ঘটনাটি ঘটেছিলো আজ থেকে প্রায় ২ বছর আগে। ২০২২ সালে। ট্রেন দেরি তে আসার কারণে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছিল ২ আইনজীবী। ঘটনার দিন ১ টি মামলার কাজের জন্য ওই ২ আইনজীবীর আহমেদাবাদ আদালতে যাবার প্রয়োজন ছিল। সেই মতো কলকাতা আহমেদাবাদ এক্সপ্রেসে টিকিট বুকিং করেছিলেন তারা। উজ্জয়িনী থেকে আহমেদাবাদ পর্যন্ত যাবার কথা ছিল তাদের। নির্দিষ্ট দিনে, নির্দিষ্ট সময়, নির্দিষ্ট স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন তারা। কিন্তু ট্রেন আসেনি। ৩ ঘন্টা অপেক্ষা করার পর তারা শান্তি এক্সপ্রেসে সাধারণ কামরার টিকিট কেটে গন্তব্যে পৌঁছন।টানা ৭ ঘন্টা দাঁড়িয়ে তাদের ট্রেন যাত্রা সম্পূর্ণ করতে হয়। এই সব কিছুর উপর নির্ভর করে তারা রেল কর্তৃপক্ষের উপর মামলা করেন।মানসিক ও শারীরিক হেনস্থা এবং আর্থিক ক্ষতির জন্য রেল কর্তৃপক্ষয়ের কাছে ক্ষতিপূরণ (Late Arrival Penalty) দাবি করেন।
আরও পড়ুন ? Sealdah 12 Coaches Train: শেষ হলো বাদুর ঝোলার দিন! শিয়ালদার এই সব রুটে চালু হল ১২ কোচের লোকাল ট্রেন
কলকাতা-আহমেদাবাদ ট্রেনে ১৬৫০ টাকা হিসাবে ২ টিকিটের জন্য ৩৩০০ টাকা খরচ হয়েছিল ওই ২ আইনজীবীর। এবং পরবর্তীতে শান্তি এক্সপ্রেসে ১৫০ টাকা প্রতি টিকিট হিসাবে ৩০০ টাকা খরচে ২ টি টিকিট কেনেন তারা। টিকিটের ভাড়া ফেরত দেবার দাবি করেন তারা। পাশাপাশি যাবতীয় হেনস্থার ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫০০০০ টাকাও দাবি করেন।জেলা ক্রেতা সুরক্ষা কমিশন তাদের দাবি মেনে নিয়ে টিকিটের ভাড়া বাবদ ৩৩০০ টাকা (Late Arrival Penalty) অতিরিক্ত ৯ শতাংশ সুদ সমেত ফেরত দেবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষকে। তবে মানসিক হেনস্থার ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৩০০০ টাকা দেবার কথা বলা হয়। এছাড়া মামলার খরচ বাবদ ২০০০ টাকা দিতে হয় রেল কর্তৃপক্ষকে।
সাধারণের জেনে রাখা ভালো, রেল পরিষেবার একাধিক নিয়মের মধ্যে এটিও অন্যতম নিয়ম। ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট গন্তব্যে না পৌঁছালে রেল কর্ত্রীপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারে যাত্রীরা। কোনো ট্রেন যদি আসতে ৩ ঘন্টার বেশি দেরি করে তাহলে সেই টিকিটটি ক্যানসেল করে টিকেটের ভাড়া ফেরতও চাইতে পারে যাত্রীরা। তবে সেক্ষেত্রে ভাড়ার টাকা ফেরত পেতে হলে যাত্রীকে টিডিয়ার ফাইল করতে হবে। ট্রেনের দেরি হবার কারণে যদি কোনো যাত্রী বোরো কোনো সমস্যার মুখে পড়েন তাহলে সেই যাত্রীকে ক্ষতিপূরণ (Late Arrival Penalty) দিতে বাধ্য থাকবে রেল কর্তৃপক্ষ।