Banned Item in Train: ভারতীয় পরিবহন ব্যবস্থার মধ্যে সবথেকে বড় পরিবহন ব্যবস্থা হলো রেল পরিষেবা। একেই ভারতীয় পরিবহন ব্যবস্থার ভিত বলা চলে। বর্তমানে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেল পরিষেবা হল ভারতীয় রেল পরিষেবা। প্রতিদিন প্রায় কয়েক লক্ষ মানুষ যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করেন রেলপথ। যাতায়াতের ক্ষেত্রে অর্থ ও সময় দুটোই বাঁচানো সম্ভব রেল পরিষেবার মাধ্যমে। যে কোন পরিবহন ব্যবস্থা ব্যবহার করার জন্য মেনে চলতে হয় বেশ কিছু নিয়ম। রেল পরিষেবাও এর ঊর্ধ্বে নয়। ১৯৮৯ সালে রেল পরিষেবা ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়মের প্রচলন করা হয়েছে। ট্রেনে এইসব জিনিসপত্র (Banned Item in Train) নিয়ে কখনোই ওঠা যায় না, উঠলেই মিলবে বড় শাস্তি।
রেল পরিষেবা অনেক বেশি নিরাপদ এবং আনন্দদায়ক তাই বেশিরভাগ মানুষই কাছাকাছি অথবা দূরের পথ অতিক্রম করার জন্য বেছে নেন রেল পরিষেবাকে। ভারতীয় রেল পরিষেবা শুধুমাত্র যাতায়াতের জন্য নয় অনেকেই ব্যবহার করেন নিজেদের রুজি রোজগারের কর্মস্থল হিসেবে। তাই রেলের বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে চলা সকলের জন্যই বাধ্যতামূলক। এই নিয়মগুলি না মানলে জরিমানা তো হবেই সাথে হতে পারে জেলও। তাই ভুল করেও এই ভুল কেউ করবে না। আজকের প্রতিবেদনে সমস্ত জিনিসগুলি সম্বন্ধে বলা হচ্ছে যা রেলে ব্যবহার করা একেবারেই নিষিদ্ধ (Banned Item in Train)। নিয়ম মেনে চললে যাত্রা হবে আরো সুন্দর আরো নিশ্চিন্তের।
যেকোনো পরিবহন ব্যবস্থার ক্ষেত্রেই একটি বিশেষ নিয়ম প্রচলিত রয়েছে। কোন রকম দাহ্য পদার্থ বহন করা যায় না পাবলিক ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে। যেমন পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন, গ্যাস সিলিন্ডার ইত্যাদি। রেল পরিষেবার ক্ষেত্রেও প্রচলিত রয়েছে একই নিয়ম। যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেই এমন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে পরিবহন দপ্তরের তরফ থেকে। তবে শুধু পেট্রোল ডিজেল নয়, বাতিল করা হয়েছে আতশবাজিও ট্রেনে কোন প্রকার আতশবাজি নিয়ে ওঠা একেবারেই নিষিদ্ধ (Banned Item in Train)। নিষিদ্ধ রয়েছে যে কোনরকম আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহারও। আগ্নেয়াস্ত্রটির লাইসেন্স থাক বা না থাক ট্রেনের ভিতরে বা স্টেশন চত্বরে বহন করা যায় না এটিকে। কোন ব্যক্তি আগ্নেয়াস্ত্রসহ ধরা পড়লে তার জেল নিশ্চিত।
আরও পড়ুন ? Indian Railways Premium Tatkal: রেলের প্রিমিয়াম তৎকালে টিকিট হবে কনফার্ম, কখন কাটতে হয়, খরচ কত?
ট্রেনের ভিতরে ধূমপান করাকে কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ (Banned Item in Train) বলে ঘোষণা করা হয়েছে। কোন ব্যক্তিকে ধূমপান করতে দেখা গেলে সাথে সাথে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে রেল পুলিশ। ট্রেন পরিষেবা ব্যবহারের ক্ষেত্রে লাগেজের ব্যাপার আমরা সেভাবে গুরুত্ব দিই না। কিন্তু প্লেনের মতো রেল পরিষেবার ক্ষেত্রেও বহন করার জন্য লাগেজের পরিমাণও নির্দিষ্ট করা রয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। তার বেশি পরিমাণ লাগেজ বহন করলে তা জরিমানা যোগ্য বলে মনে করা হয়। আপনার বাড়িতে কি কোন পোষ্য রয়েছে? সেও কি আপনার যাত্রাপথে সামিল হতে চলেছে? তাহলে এই নিয়মটি ভালো করে জেনে নিন। কোন পোষ্য প্রাণীকে নিয়ে এসি স্লিপার ক্লাসে ওঠা যায় না। যদি কোন ব্যক্তি এই নিয়ম লঙ্ঘন করেন তাহলে সাথে সাথে আইনের আওতায় বন্দী করা হবে সেই যাত্রীকে।
১৯৮৯ সালে নতুন করে রচিত হয়েছিল রেল আইন। সে আইনে ১৬৪ নাম্বার ধারায় বলা হয়েছে ট্রেন পরিষেবা ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো রকম দাহ্য পদার্থ বহন করা একেবারেই নিষিদ্ধ (Banned Item in Train)। এটি শাস্তি যোগ্য অপরাধ। কারো কাছে যদি কোন প্রকার দাহ্য পদার্থ পাওয়া যায় তাহলে তাকে সাথে সাথে গ্রেফতার করতে পারে রেল পুলিশ। এই অভিযোগে অভিযুক্তদের হতে পারে তিন বছরের জেল এবং আর্থিক জরিমানা। এছাড়াও ১৬৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী, রেল আইনের যেকোনো নিয়ম লঙ্ঘন করলেই যাত্রী ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন। এছাড়া থাকবে আর্থিক ঝুঁকির সম্ভাবনাও। ন্যূনতম ১০০০ টাকা জরিমানা হতে পারে যাত্রীদের।