Online Shopping: যতদিন এগোচ্ছে তত বাড়ছে অনলাইন শপিং (Online Shopping) এর চাহিদা। এখন আর দোকানে গিয়ে নিজে হাতে দেখে বেছে জিনিস কেনার চল প্রায় নেই বললেই চলে। অনলাইনে অর্ডার করে নেওয়া যায় যে কোন জিনিস। নিত্যদিনের মুদি বাজার হোক বা জামা-কাপড়, জুতো বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস। সবথেকে বড় সুবিধা হল অনলাইন পরিষেবাগুলিতে চালু হয়েছে ফার্স্ট ডেলিভারি সিস্টেম। যার ফলে অর্ডার করার কয় ঘন্টা পরে বাড়িতে ডেলিভারি চলে আসে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলির। অর্ডার করলেই জিনিসপত্র চলে আসায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসে বেড়েছে খরচ! কতটা? রইল হিসেব-নিকেশ।
অনলাইনে ঘরে বসে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অর্ডার করে কয়েক ঘন্টার মধ্যে যদি বাড়িতে ডেলিভারি পাওয়া যায় তাহলে শুধু শুধু সময় নষ্ট করে বাজারে যাব কেন? এই চিন্তা ভাবনা থেকেই বাড়ছে অনলাইন শপিংয়ের (Online Shopping) চাহিদা। বাড়ছে কেনাকাটির পরিমানও। বাজারে গিয়ে দেখে শুনে কোন জিনিস কিনলে যে পরিমাণ জিনিস কেনা হয়, তার থেকে অনলাইনে কেনার ক্ষেত্রে পরিমাণটা অনেক বেড়ে যাচ্ছে। কারণ অর্ডার করলে ঘরে বসে ডেলিভারি পাওয়া যাচ্ছে এবং তাও মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে। ফলে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রগুলি বারবার অর্ডার করা হচ্ছে বেশি পরিমাণে। কোন জিনিস পাওয়া যাচ্ছে না বলে অপেক্ষা করতে হচ্ছে না গ্রাহককে।
দ্রুত ডেলিভারি পরিষেবা প্রদানকারী ই-কমার্স সাইটগুলির মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় হলো ব্লিংকিট এবং যেপ্টো। এই সাাইটগুলিতে কোন জিনিস অর্ডার করলে মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে ডেলিভারি পেয়ে যেতে পারেন ঘরে বসে। এমনটাই দাবি করেছেন ই-কমার্স সাইটগুলির কর্তৃপক্ষ। সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, ভারতীয়রা বছরে এফএমসিজি পণ্যের জন্য অর্ডার (Online Shopping) প্লেস করেন প্রায় ১৫৬ বার। অর্থাৎ প্রত্যেক ৫৬ ঘণ্টায় একবার করে কোনো না কোনো ভারতীয় অর্ডার প্লেস করেন এফএমসিজি পণ্যের জন্য। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে শেষ পাঁচ বছরে এই সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গেছে। পাঁচ বছর আগেও কিন্তু ছবিটা এরকম ছিল না। অনলাইন শপিং ছিল ঠিকই কিন্তু তখন বছরে মাত্র ৮০ থেকে ৯০বার কেনাকাটা করতো ভারতীয়রা কিন্তু এখন তার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে দেড়শ থেকে ২০০ বার।
আরও পড়ুন ? UPI New Feature: UPI-এ আসছে নতুন ফিচার, যুক্ত হতে চলেছে ডেলিগেট পেমেন্টস, মিলবে কি কি সুবিধা
অনলাইন শপিং (Online Shopping) এর ক্ষেত্রে দ্রুতো ডেলিভারি পরিষেবার (Fast Delivery System) প্রভাব সরাসরি এসে পড়েছে রিটেল সেকশনগুলিতে প্রত্যেকটি দোকানের অবস্থা আশঙ্কাজনক এখন আর গ্রাহকদের দেখাই যায় না সে সমস্ত দোকানে বাধ্য হয়ে সেই সমস্ত রিটেল সেকশনের কর্মকর্তারা সাহায্য নিচ্ছেন অনলাইন পরিষেবার তারাও অনলাইনেই তাদের প্রোডাক্ট বিক্রি করার চেষ্টা করছেন। রিটেল সেকশনগুলির মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য রিলায়েন্স রিটেল এবং স্পেন্সার রিটেল। এরাও কিন্তু বর্তমানে অনলাইন বুকিং এবং দ্রুত ডেলিভারি পরিষেবা দেওয়ার ব্যাপারে বেশি জোর দিচ্ছে। এছাড়া অ্যামাজন, ফ্লিপকার্টের মত ই-কমার্স সাইটগুলিও পিছিয়ে নেই। এই ক্ষেত্রে তারাও কত দ্রুত নির্দিষ্ট প্রোডাক্টের ডেলিভারি বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া যায় সেই চেষ্টাতেই রয়েছেন।
দ্রুত ডেলিভারি পরিষেবার কারণে, একদিকে বাড়ছে ই-কমার্স সাইটগুলির রমরমা। অনলাইন শপিংয়ের (Online Shopping) বাড়বাড়ন্তো ভীষণভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অন্যদিকে কমছে রিটেল ব্যবসায়ীদের ব্যাবসাও। তাদের দুরবস্থাও চোখে পড়ার মতন। এফএমসিটির ক্ষেত্রে প্রতিবছরই বাড়ছে অর্ডারের পরিমাণ। কুইক-কমার্স এবং ই-কমার্স সাইটগুলি যত দ্রুত ডেলিভারি পরিষেবা দেওয়া যায় সেই চেষ্টাতেই কাজ করে চলেছে প্রতিনিয়ত। কমছে তাদের ডেলিভারি দেবার সময়সীমা। ডেলিভারি পাবার সময় যত কমছে এফএমসিজি পণ্যের অর্ডারও ততই বাড়ছে। সমীক্ষা বলছে প্রতি বছর প্রায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে এফএমসিজি পণ্যের অর্ডার।