Richest man in Bangladesh: টাকা-পয়সায় হাসিনা এনার কাছে নস্যি, এই ব্যক্তিই এখন বাংলাদেশের সবথেকে ধনী ব্যক্তি

Prosun Kanti Das

Updated on:

Advertisements

Richest man in Bangladesh: বিশ্বের ধনকুবেরদের তালিকায় বহু মানুষের নাম আছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো এলন মাস্ক, জেফ বেজোস, মুকেশ অম্বানি, গৌতম আদানি প্রমুখ। কিন্তু জানেন কি এরমধ্যে আছে একজন বাংলাদেশি ব্যক্তির নামও? বর্তমানে বাংলাদেশের আর্থিক পরিস্থিতি খুবই সংকটজনক। হাসিনার বিদায়ের ফলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক টালমাটাল অবস্থায় সামনে এসেছে বাংলাদেশের এক ধনকুবেরের নাম। আজকের প্রতিবেদনে তার সম্পর্কে জানতে পারবেন বিস্তারিতভাবে।

Advertisements

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বর্তমানে বেকারত্ব, দারিদ্র এবং মূল্যবৃদ্ধির মত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। হাসিনার বিলাসবহুল জীবনযাত্রা নিয়ে অনেকেই নানারকম মন্তব্য করেছে। তার বিদায়ের পর গণভবন থেকে দামী দামী, শাড়ি, গয়না-সহ বিভিন্ন জিনিস লুঠ করেছে সাধারণ জনগণ। কিন্তু শেখ হাসিনার সম্পত্তিকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশের এই ব্যক্তির মোট সম্পত্তি। ইনি হলেন বাংলাদেশি ধনকুবের মুসা বিন শমসের বা প্রিন্স মুসা (Richest man in Bangladesh)।

Advertisements

ইনি একমাত্র বাংলাদেশি যার মোট সম্পত্তি সত্যিই অবাক করে দেওয়ার মতো। আগে অবশ্য ফোর্বসের তালিকায় নাম উঠে এসেছিল আজিজ খানের। কিন্তু বর্তমানে তিনি পাকাপাকিভাবে সিঙ্গাপুরবাসী। সেই কারণে তাকে কোনভাবেই আর বাংলাদেশি বলা চলে না। সেই কারণে বাংলাদেশের অন্যতম ধনকুবের হলেন প্রিন্স মুসা (Richest man in Bangladesh)। তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ কত? শেখ হাসিনার থেকে মুসা বিন শমসের ৪০,০০০ গুণ বেশি ধনী।

Advertisements

কে এই মুসা বিন শমসের (Richest man in Bangladesh)? তিনি ১৯৪৫ সালের ১৫ অক্টোবর, বাংলাদেশের ফরিদপুরে এক সুপরিচিত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর বাবা শমসের আলি মোল্লা ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের এক পদস্থ কর্তা। ছোটবেলা থেকেই মুসা ছিলেন মেধাবী ছাত্র। ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজে স্নাতক কোর্স করার পর তিনি চলে গিয়েছিলেন আমেরিকায়। ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে তিনি অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

আরো পড়ুন: ওয়েটার থেকে মুকেশ-গৌতমকে টেক্কা! বিশ্ব ধনী তালিকায় খোঁজ মিললো নতুন বিলিয়নিয়ারের

তিনি শুধুমাত্র একজন ধনী ব্যক্তি (Richest man in Bangladesh) নয়, সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতিও তার গভীর অনুরাগ ছিল। অল পাকিস্তান আন্ত-স্কুল ইংরেজি বিতর্ক প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েছিলেন তিনি।যখন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলছিল তখন তিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন। যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে নতুন ভাবে গঠন করতে তিনি অনেকটাই সহায়তা করেছিলেন। ধীরে ধীরে তিনি বাংলাদেশের এক বিশিষ্ট শিল্পনেতা হয়ে ওঠেন। ডাটকো (DATCO) নামে এক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। বাংলাদেশের কর্মশক্তি বাইরের দেশে রপ্তানি করাই ছিল এই সংস্থার প্রধান কাজ । এরপর তিনি অস্ত্র ব্যবসায় চলে আসেন। বিশ্বব্যাপী ট্যাঙ্ক, ফাইটার প্লেন এবং অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্র বিক্রি করে ধনকুবের হয়ে ওঠেন।

তার এই সাফল্যের ফলে ১৯৯৮ সালের সানডে টেলিগ্রাফের একটি নিবন্ধে ‘ম্যান উইদ দ্য গোল্ডেন গানস’ বলে তাকে উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে বিভিন্ন সময় তার নামের সঙ্গে জুড়ে গেছে নানারকম বিতর্ক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে এক সুইস ব্যাঙ্কে ৭ বিলিয়ন ডলার বা ৭০০ কোটি ডলার লুকিয়ে রেখেছেন তিনি। এমনকি তার বিরুদ্ধে কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ পর্যন্ত উঠেছে। এই আন্তর্জাতিক অস্ত্র ব্যবসায়ী এবং পাওয়ার ব্রোকারের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার বা ৯৯,৬০০ কোটি টাকা। কিন্তু তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ এর সঠিক হিসাব পাওয়া যায় না।

Advertisements