করোনা আবহে টাকা নেওয়ার আগে অ্যালকোহল দিয়ে ধুঁয়ে নিচ্ছেন এক ব্যবসায়ী

লাল্টু : দেশে প্রতিনিয়তই বেড়ে চলেছে করোনা ভাইরাসে সংক্রামিত ব্যক্তিদের সংখ্যা। আর প্রতিনিয়ত এই সংখ্যাটা বেড়ে চলার কারণে মানুষ দিনের পর দিন ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ছেন। আর এই ভীতি, করোনা থেকে বাঁচার জন্য প্রতিনিয়ত নানান পন্থা বেছে নিচ্ছেন আমজনতা। ঠিক তেমনই বীরভূমের দুবরাজপুর শহরের এক কেবল অপারেটর এই করোনা আবহে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

দুবরাজপুর শহরের ওই কেবল অপারেটরের নাম মিহির লায়েক। বর্তমানে দেশজুড়ে লকডাউন চললেও জরুরি পরিষেবায় ভিত্তিতে তাকে কেবল পরিষেবা চালিয়ে যেতে হচ্ছে। যে কারণে তার কাছে গ্রাহকরা আসছেন, কেবল টিভি রিচার্জ করে যাচ্ছেন, টাকা পয়সা দিচ্ছে। আর এই সবই চলছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে, কিন্তু টাকার ক্ষেত্রে? টাকা তো হাতে নিতেই হবে, পকেটে ভরতেই হবে। আর যদি সেই টাকার মধ্যেই চলে আসে করোনাভাইরাস! যে কারণে তিনি ঠিক করেছেন টাকা নেওয়ার আগে সেই টাকা অ্যালকোহল জলে ডুবিয়ে রেখে তারপর শুকিয়ে পকেটে পুরবেন। আর এমন কাণ্ড প্রকাশ্যে আসতেই ভাইরাল।

ওই কেবল অপারেটর তার দোকানের সামনে একটি বালতি রেখে দিয়েছেন। যে বালতিতে অর্ধেক জলে মেশানো রয়েছে অ্যালকোহল। আর কোন গ্রাহক টিভি রিচার্জের টাকা দিতে এলেই তাকে ওই বালতির মধ্যে টাকা ফেলে দিতে বলছেন। সেই টাকা আধঘন্টা মত অ্যালকোহল জলে ডুবে থাকার পর তিনি সেই টাকা তুলে একটি খাঁচার মধ্যে শুকিয়ে নিচ্ছেন। তারপর ক্যাশবাক্স অথবা পকেটে পুড়ছেন।

তার এমন কাণ্ড ঘটিয়ে ওই ব্যবসায়ীর বক্তব্য, “আমি গ্রাহকদের ফোনের মাধ্যমে রিচার্জ করে পরিষেবা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। সেই মত আমি আমার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।কোন কোন গ্রাহক ডিজিটাল লেনদেন অর্থাৎ পেটিএম ইত্যাদির মাধ্যমে আমাকে টাকা পাঠাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ দোকানে এসে টাকা দিয়ে যাচ্ছেন। টাকা যারা দিতে আসছেন তাদেরকে বারণ করা যায় না, সেজন্য আমি এই পন্থা বেছে নিয়েছি। আমার জানা নেই এর মাধ্যমে কতটা সুফলতা মিলবে। তবে যখন টাকাগুলো শুকিয়ে নিচ্ছি তখন দেখতে পাচ্ছি পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার জন্যই আমি এই পথ বেছে নিয়েছি।”

এখানে তিনি আরও জানিয়েছেন, তিনি সমস্ত কাজটি করছেন ভারতীয় মুদ্রাকে সম্মান দিয়েই যত্ন সহকারে ও কোনোরকম বিকৃতি না করেই।