শ্বশুরের প্রেমে মজলেন বধূ, বিয়েও সেরে ফেললেন, তারপর যা ঘটল

বর্তমান যুগে অনেক অদ্ভুত ঘটনা ঘটে থাকে। যা স্বাভাবিক ভাবেই অবাক করে সাধারণ মানুষ কে। সেই রকমই ঘটনা ঘটলো আবার। নিজের পুত্রবধূকেই (Daughter In law) বিয়ে (Marrige) করেন এক ব্যক্তি। কিন্তু বিয়ের মাত্র চার দিন পরেই যা ঘটল তা শুনলে চমকে উঠবেন আপনি।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিয়ের পর পারিবারিক অশান্তির জেরে ব্যক্তি নিজেকে শেষ করে দেন। মৃতের নাম হামিদুল ইসলাম (৪৩)। তাঁর বাড়ি বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজবাড়ীর পাংশায়। শনিবার সকালে পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের পুঁইজোর খালপাড়া গ্রাম থেকে পুলিশ ওই মৃতদেহ উদ্ধার করে। তাঁর পরিবারের সদস্যদের দাবি, আত্মহত্যা করেছেন হামিদুল ইসলাম। এই বিষয়ে পুত্রবধূ জাহানারার দাবি, তাঁর শ্বশুর তাঁকে জোর করে বিয়ে করেছিল। জাহানারা বলেন, সে তার শশুরকে বিয়ে না করলে তিনি আত্মহত্যা করবেন বলে জানিয়েছিলেন। তাই সে বাধ্য হয় বিয়ে করতে।

জানা গিয়েছে, নিজের পুত্রবধূকে বিয়ে করায় সবাই ধিক্কার জানান হামিদুলকে। সেই সঙ্গে শুরু হয় পারিবারিক অশান্তি। এই সামাজিক ধিক্কার এবং পারিবারিক অশান্তি সহ্য করতে না পেরে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন হামিদুল (৪৫)। বাসিন্দারা এবং মৃতের পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই বছর আগে হামিদুলের ছেলে রাকিবুল হোসেন ওরফে নয়নের (১৮) সঙ্গে বালিয়াকান্দি রামদিয়া বারমল্লিকা গ্রামের কাশেম মন্ডলের মেয়ে জাহানারার (২০) পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়।

দেড় বছরের মাথায় তাঁদের একটি ছেলে সন্তান হয়। কিন্তু এরপর শ্বশুর হামিদুলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তাঁর পুত্রবধূ। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হতেই বাসিন্দারা নানা কথা বলতে শুরু করেন। হামিদুলের ছেলে নয়ন জানায়। তারপর ১০ ফেব্রুয়ারি জাহানারা তাঁকে ডিভোর্স দেয়।

নয়ন জানায়, তারপরে ২০ ফেব্রুয়ারি রাজবাড়ী আদালতে গিয়ে তাঁর বাবাকে বিয়ে করে জাহানারা। এরপর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে কিছু লোক এসে বাবার সঙ্গে কথা আছে বলে ডাকাডাকি করেন। এতে তাঁর বাবা ভয় পান। ওই রাতেই হামিদুল নিজের ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে তাঁর ‘প্রাক্তন’ স্ত্রীও গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। যদিও প্রাণে বেঁচে যায় জাহানারা।