লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম ফিলাপ করেই প্রেমিকের হাত ধরে পালাল বাড়ির ‘লক্ষ্মী’

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার স্বপ্নের প্রকল্প হিসাবে শুরু করেছেন লক্ষ্মীর ভান্ডার। এই প্রকল্পের আওতায় প্রতিমাসে সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা ৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলারা ১০০০ টাকা পেয়ে থাকেন। রাজ্যজুড়ে বর্তমানে যখন দুয়ারে সরকার শিবির চলছে সেই সময় এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করতে ফের ভিড় জমাতে দেখা যাচ্ছে মহিলাদের।

রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যে সকল দুয়ারে সরকার ক্যাম্প চলছে, সেই সকল দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে ফর্ম ফিলাপ করার জন্য মহিলাদের ভিড় বাড়ানোর মধ্যেই একটি অঘটন ঘটে গেল দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে। সেখানে লক্ষ্মীর ভান্ডারের ফর্ম ফিলাপ করতে এসে এক গৃহবধূ চম্পট দিলেন তার প্রেমিকের সঙ্গে। লক্ষ্মীর ভান্ডার ফর্ম ফিলাপ করতে এসে পালাল বাড়ির ‘লক্ষ্মী’।

এমন ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের ভাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এবং শেষমেষ ওই গৃহবধুর স্বামী রবিবার পুলিশে অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন এবং এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।

যে গৃহবধুর এইরকম ভাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম ফিলাপ করতে এসে প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে ওই গৃহবধূ হলেন রায়গঞ্জের বাসিন্দা। আট বছর আগে তার বিয়ে হয় বালুরঘাটে। ওই গৃহবধুর স্বামী হলেন একজন গাড়িচালক। বর্তমানে তাদের চার বছরের এক সন্তান রয়েছে। ৩২ বছর বয়সী ওই গৃহবধূর স্বামী দাবি করেছেন, শনিবার দুপুর তিনটে নাগাদ তিনি লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য ফর্ম ফিলাপ করতে বের হন এবং তারপর থেকেই নিখোঁজ।

প্রথম দিকে খোঁজ না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা হতভম্ব হয়ে পড়লেও পরবর্তীতে যখন বাড়িতে বিভিন্ন জিনিসপত্র খোঁজাখুঁজি করেন তখন জানতে পারেন ৪০০০ টাকা এবং যাবতীয় নথিপত্র নিয়েই তিনি চলে গিয়েছেন। প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে যাওয়া গৃহবধূর স্বামী দাবি করেছেন, বালুরঘাটের তেওড় এলাকার এক যুবকের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। এই ঘটনাকে নিয়ে বাড়িতে অশান্তি হয় এবং গৃহবধূর ফোনও ভেঙে দিয়েছিলেন তার স্বামী। তবে ফোনে তাদের কথোপকথন বন্ধ হয়নি বলেই দাবি করেছেন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া গৃহবধুর স্বামী।