৩০ টাকার লটারিতে কোটি টাকা, রাতারাতি ভাগ্য বদল দুঃস্থ দরিদ্র পরিবারের

নিজস্ব প্রতিবেদন : একেই দুঃস্থ দরিদ্র, তারপর আবার বোবা কালা। এমত অবস্থায় সংসার চলে কেবলমাত্র দিনমজুরি করে আসা আয় থেকে। তবে মানুষ মাত্রই ধনী হওয়ার, লাখপতি হওয়ার, কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন থাকে। কিন্তু শারীরিক দিক দিয়ে বিশেষভাবে সক্ষম এই মানুষটির লাখপতি হওয়ার স্বপ্ন যেন ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে স্বপ্ন দেখার মতোই।

তবে এই ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে দেখা স্বপ্নই ওই মূক ও বধির ব্যক্তির জন্য বাস্তবায়িত হলো লটারির দৌলতে। মাত্র ৩০ টাকার টিকিট কেটে তিনি জিতে নিলেন ১ কোটি টাকা। রাতারাতি এমন ভাগ্য বদলে যাওয়া ব্যক্তি হলেন পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার অন্তর্গত বামোর গ্রামের বাসিন্দা মূক ও বধির হরি মাঝি।

হরি মাঝির স্ত্রী পুতুল মাঝি জানিয়েছেন, তার স্বামীর মাঝে মাঝে লটারির টিকিট কাটার অভ্যাস রয়েছে। সেইমতো সে দুদিন আগে ছেলের থেকে ৩০ টাকা নিয়ে বাজারে যান। সেখানে সেই টাকা দিয়ে লটারি টিকিট কাটেন। সেই টিকিটের রেজাল্ট বের হয় সোমবার বিকেল চারটের সময়। আর তাতেই দেখা যায় যে তিনি এক কোটি টাকা পুরস্কার হিসাবে জিতেছেন।

বছর ৪২-এর হরি মাঝি স্ত্রী ও এক সন্তান এবং বিধবা মাকে নিয়ে বসবাস করেন। ছেলের বয়স ১৮ বছর। তবে অভাবের তাড়নায় ছেলে সুজন মাঝির পড়াশোনা ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। রোজগারের তাগিদে এবং দৈনন্দিন জীবনযাপনের জন্য প্রত্যেকেই দিনমজুরের কাজ বেছে নিয়েছেন। তারা একটি মাটির খড়ের ছাউনি দেওয়া বাড়িতে বসবাস করেন। বাড়ির অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে বৃষ্টি পড়লে সেই বৃষ্টির জল বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়ে।

তবে সোমবার বিকালে লটারিতে কোটি টাকা জেতার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে যায়। বহু মানুষ ওই মূক ও বধির কোটিপতি হরি মাঝিকে দেখার জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে আসতে শুরু করেন। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা নিরাপত্তার জন্য হরি মাঝি এবং তার পরিবারের লোকজনদের পাহারা দিয়ে আগলে রেখেছেন।