১০ থালা ভাত আর ৪০টি রুটি, পরিযায়ীর খাওয়ার বহরে চক্ষু চড়কগাছ

নিজস্ব প্রতিবেদন : কথায় আছে আপ রুচি খানা। খাওয়াটা সব সময় নিজের রুচি অনুযায়ী হয়। তাই সব মানুষের খাওয়া সমান হয় না। কেউ ভাত খেতে পছন্দ করেন কেউ রুটি। কারোর খাবার পরিমাণ বেশি তো কারোর কম। কিন্তু তা বলে কোন মানুষ এতটাও বেশি খান তা অনুমান করতে পারেননি প্রশাসনও।

বিহারের প্রত্যন্ত এলাকায় রয়েছে একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার। খুব কম সংখ্যক শ্রমিক রয়েছেন সেখানে। অথচ প্রতিদিনই সেখানে খাবার কম পড়ে। কেন খাবার প্রতিদিন কম পড়ে তা জানতে চাইলে ওই সেন্টারের তরফ থেকে জানানো হয়, এই সেন্টারে এমন একজন শ্রমিক রয়েছেন যিনি একাই ১০ জনের খাবার খান।

এই কথাটি এতটাই অবিশ্বাস্য যে এটি যাচাই করতে ওই শ্রমিকের দুপুরের খাবার সময়ে সরকারি আধিকারিকরা ঐ কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে যান। তারপর তারা যা দেখলেন তা দেখেই চক্ষু চড়কগাছ।

বক্সার জেলার মাঞ্জওয়ারির ওই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাজস্থান থেকে আসা একজন পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন। নাম অনুপ ওঝা। বয়স ২৩ বছর। এই ব্যক্তি ব্রেকফাস্টে খান চল্লিশটি রুটি। আর দুপুরের খাবারে খান ১০ থালা ভাত। অনুপ ওঝার এই খাওয়ার পরিমাণ দেখে সরকারি আধিকারিকরা সত্যি তাজ্জব হয়ে গেছেন।

স্থানীয় বিডিও এ.কে. সিং একটি সাক্ষাৎকারে সংবাদমাধ্যমকে এপ্রসঙ্গে বলেছেন “একদিন ঐ কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে জলখাবারে লিট্টি বানানো হয়। তখন অনুপ ওঝা একাই খেয়ে নেন ৮৫টা লিট্টি। তার জন্য অনেক অনেক রুটিও বানাতে হচ্ছে। এই খবর পাওয়ার পরেই আমরা খবরটির সত্যতা যাচাই করতে যা‌ই।”

অনুপ ওঝার খাবারের পরিমাণ দেখে চমকে গেলেও তার খাওয়া নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলেননি প্রশাসনের আধিকারিকরা। প্রশাসনের তরফ থেকে বলা হয়েছে যে যতদিন এই সেন্টারে অনুপ ওঝা থাকবেন ততদিন তিনি যতটা খাবার চাইবেন ততটাই যেন তাকে দেওয়া হয়।