নাগরদোলাকে গাড়ি বানিয়ে পরিবার নিয়ে ছুটছেন যুবক, আবিষ্কারের তারিফ নেটিজেনদের

নিজস্ব প্রতিবেদন : তারা রুজি-রুটির টানে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যান। অন্য রাজ্যে গিয়ে তারা কাজ করেন। তাদের বলা হয় পরিযায়ী শ্রমিক। এই পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল। আর এরই মাঝে দেখা মিললো এক শ্রমিকের অভিনব আবিষ্কার।

কয়েক দিন ধরে আমরা পরিযায়ী শ্রমিকদের দলে দলে বাড়ি ফেরার নানা চিত্র দেখতে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছি। কোথাও দেখা যাচ্ছে হাঁটতে হাঁটতে পায়ের চামড়া উঠে গেছে তাদের। কোথাও দেখা যাচ্ছে ট্রলি ব্যাগের উপর ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে শিশু, ট্রলি ব্যাগকে দড়ি বেঁধে টানছেন মা। কোথাও দেখেছি গর্ভবতী স্ত্রীকে নিয়ে কাঠের পাটাতনের চাকা লাগিয়ে টানছেন পরিযায়ী শ্রমিক। আবার কোথাও দেখেছি অসুস্থ ছেলেকে নিয়েই হাঁটছেন শ্রমিক। কখনো দেখা যাচ্ছে সন্তান জন্মের পর ঘন্টা দুয়েক বিরতি নিয়েই আবার হাঁটতে শুরু করেন শ্রমিক মা!

পরিযায়ী ওই শ্রমিকের অভিনব এই আবিষ্কার নেটিজেনদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। রাজ্যের নানান জায়গায় নানান মেলায় গিয়ে তিনি নাগরদোলা চালান। নিজের নাগরদোলাকেই তিনি গাড়ি করে নেন। তারপর সেই নগরদোলার একটা অংশে স্ত্রীকে বসিয়ে অপর অংশে নিজের যাবতীয় জিনিসপত্র বসান। আর তারপর পাড়ি দেন এখান থেকে ওখানে। নাগরদোলাই যেন তার কাছে গাড়ি। এতে নিজেদের যাতায়াত ছাড়াও অনায়াসে নিয়ে যাওয়া যায় নিজেদের সরঞ্জামও।

এক অভিনব কৌশলে নাগরদোলার চারটি চাকা লাগিয়েছেন নাগরদোলার তলায়। নিজের মোটরবাইকের সামনের চাকার সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন ওই নাগরদোলাকে। বাইকের সামনে স্টিয়ারিং লাগিয়েছেন। এমনকি নাগরদোলার মাথায় শোয়ারও ব্যবস্থা করেছেন তিনি। তারপর মোটরবাইকের স্পিড বেঁধে দিয়ে স্টার্ট দেন বাইকে। রাস্তায় এরকম অদ্ভুত দর্শন নাগরদোলাকে যেতে দেখে মানুষজন অবাক হয়েছেন ঠিকই, পাশাপাশি পরিযায়ী ওই শ্রমিকের বুদ্ধির তারিফও করেছেন।

বর্তমান লকডাউনের পরিস্থিতিতে এই ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে এই ভিডিও বর্তমান পরিস্থিতির নয় বলে দাবি করেছেন অনেকেই। পাশাপাশি ভিডিওটি শেয়ার করার সময় কোন রাজ্যের কোন জায়গা ইত্যাদি তথ্য দেওয়া হয়নি। সে যাই হোক ভিডিওটি পুরাতন হোক অথবা নতুন ওই শ্রমিকের বুদ্ধির তারিফ করতে দেখা গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার নেটিজেনদের।