নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতবর্ষ চিরকালই আধ্যাত্মিক দেশরূপে পরিচিত। কত হাজার মহর্ষি মুনি-ঋষিরা আমাদের এই দেশে জন্মেছেন। তাদের চরণধূলিতে আজও আমাদের এই মাটি পবিত্র হয়ে আছে। আর মুনিঋষিদের মধ্যে আধ্যাত্মিক ক্ষমতার কথা আমরা তো ছোটবেলা থেকে শুনতে শুনতেই অভ্যস্ত। কিছু সাধক থাকেন যারা হন বাকসিদ্ধ, মুখ থেকে বের হওয়া কথায় সত্য বলে ফলে যায় আর কিছু সাধক হন কর্মসিদ্ধ, অসম্ভবকেও সম্ভব করে তোলেন অদৃশ্য এক ক্ষমতার বলে। আমাদের চোখে আপাতদৃষ্টিতে যা অসম্ভব, তাই তারা যোগবলে সম্ভব করে তোলেন।
এর আগেও ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল হিমালয়ের চূড়ায় প্রবল শৈতের মধ্যে একজন সাধু খালি গায়ে তপস্যা করছেন। নেটিজেনরা দেখার পরে অবাক হয়েছেন বিস্মিত হয়েছেন এটা ভেবে যে কী করে সম্ভব? কিন্তু সম্ভব ওনাদের পক্ষে এগুলি সম্ভব। শীত, গ্রীষ্ম বর্ষার প্রাকৃতিক সমস্ত দুর্যোগগুলি হয়তো আমাদের মত মানুষের জন্যই আর তারা তাদের মানসিক পবিত্রতার দ্বারা এই কাঠিন্যগুলি অনায়াসেই অতিক্রম করেছেন। তাই তো তারা সাধক, তারা তপলব্ধ,তারা জাগতিক জীবনের কামনা বাসনার বাইরে এক অসীমের দিকে ছুটে বেড়ান।
সম্প্রতি আরও একজন সাধুর একটি অবিশ্বাস্য ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, যেটি দেখে মানুষজন আবারও অবাক হয়ে গেছেন।
A monk is climbing a steep slope without ropes. Nearby climbers are a little shocked by what they just saw. Even i am shocked ?
@GoofyOlives @BAS_END @Gumnam21996100 @romiyo7664 pic.twitter.com/3dxl91kl8W— Lãñkāpãtì Rãvāñã 4.0 (@Jack_off_raga) July 23, 2020
৭০ ডিগ্রি খাড়া ঢাল! যেখানে উঠতে গেলে প্রতিরক্ষার আলাদা ব্যবস্থা নিতে হয় সেখানে একজন সাধক প্রতিরক্ষার কোন রকম ব্যবস্থা ছাড়াই হনহন করে উঠে যাচ্ছেন! পাহাড়ে উঠছেন তিনি সম্পূর্ণ খালি পায়ে! এতদিন এই অসম্ভবকে সম্ভব হতে দেখেছি রুপোলি পর্দায় বাস্তবে এই ঘটনা অসম্ভব বললেও কম বলা হয়। কিন্তু আমাদের কাছে যা অসম্ভব তাঁর কাছে সেগুলি নেহাতই তুচ্ছ।ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে পাশে দড়ি পড়ে থাকলেও ওই সাধক দড়ির সাহায্য নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেননি। কয়েকদিন আগে মাইক্রোব্লগিং বলে একটি সাইটে এই ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বহু বছর আগে কোথাও একটা পড়েছিলাম মানুষ যখন জীবনের যাবতীয় ভোগাকাঙ্খা ও জাগতিক মোহকে বিনষ্ট করতে সক্ষম হন তখন তিনি অনায়াসেই অসীমকে প্রাপ্ত হন প্রকৃতির প্রত্যেকটি ধূলিকণা সঙ্গে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সাধকের এই ভিডিওটি দেখে বারবার ওই কথাটিই মনে আসছে। প্রকৃতির সঙ্গে বন্ধুত্ব আছে বলেই হয়তো নুড়ি পাথরের বাধা, পথের চড়াই-উৎরাইকে অগ্রাহ্য করে তিনি এগিয়ে যেতে পারছেন!