টাকা চাইছেন TT, খাবারে কারচুপি, সব দুর্নীতির অভিযোগ জানাতে নাম্বার আনলো রেল

চলন্ত ট্রেন হোক বা স্টেশন। নানান সময় রেলকর্মীদের বিরুদ্ধে আসে নানান অভিযোগ। সেই কারনেই রেল বোর্ডের চেয়ারম্যানের অধীনে একটি হেল্পলাইন নাম্বার চালু করা হলো। এই নাম্বারে যাত্রী নিজের অভিযোগ জানাতে পারবেন।

নিজস্ব প্রতিবেদন : অনেকসময় ট্রেনে বার্থ দেওয়ার জন্য ট্রেনের টিটিই টাকা চান অথবা দেখা যায় স্টেশন বা ট্রেনে খাবারের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে বা খাবারে কারচুপি, এমনকি পার্সেল বুকিং করতে গেলেও খসাতে হচ্ছে বেশ কিছু টাকা।শুধু তাই না আধিকারিকরা টেন্ডার দেওয়ার জন্য ঘুষ খাচ্ছেন এমন অভিযোগও উঠছে, এসবের ফলে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের।

কিন্তু পদক্ষেপ নেওয়ার অভাবে বেড়েই চলেছিল এসব ঘটনা। অনেক ক্ষেত্রে এমনও অভিযোগ আসছে, যাতে জড়িত সাধারণ কর্মী থেকে রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সকলেই যুক্ত এসব দুর্নীতির সাথে। রেলের এইসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের জন্য চালু হলো একটি হেল্পলাইন নাম্বার। এই নতুন হেল্পলাইন নাম্বারটি হলো ১৫৫২১০। যাত্রীরা ২৪ ঘণ্টাই এতে নিজের অভিযোগ জানাতে পারবেন।অভিযুক্ত কর্মীর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়।

যাত্রীরা সহজেই অভিযোগ দায়ের করতে পারলে অনেকেই অভিযোগ জানাতে পারবেন বলে মনে করছেন রেল কর্তারা। অভিযোগ এলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া সহজতর হবে বলে মনে করছে রেল কর্তৃপক্ষ। মানুষ যাতে এই বিষয় সচেতন হন সেইজন্য প্রতিটা স্টেশনে প্রচার চালাতে বলা হয়েছে রেলমন্ত্রকের তরফ থেকে। পোস্টার ও অ্যাড্রেস সিস্টেমের মাধ্যমে চালানো হবে প্রচার কার্য।

এছাড়াও যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে যাত্রী সহযোগিতার আরও একটি হেল্পলাইন নাম্বার আছে যেখানে প্ল্যাটফর্মে আরপিএফের হয়রানি, সাধারণ কামরার সিট বিক্রি, টিকিট দালালদের রমরমা, কর্মী বদলির নামে টাকা চাওয়া হোক কিংবা রিজার্ভেশন দপ্তরের দুর্নীতি ইত্যাদির বিষয় দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করা যায়। সেই নাম্বারটি হলো ১৮২। এই নাম্বারে কিছু বিশেষ অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন যাত্রীরা। যাত্রীদের সাহায্য করবেন আরপিএফ। বিস্তারিত অভিযোগ দায়ের করার সাথে ভিজিল্যান্স ইন্সপেক্টরদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের কাছে অভিযোগ অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন যাত্রীরা।

অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহন করার কথা বলা হয়েছে এবং তার সাথে সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছেও পাঠানো হবে যাত্রীর অভিযোগ। তবে এই নতুন ব্যবস্থাতেও যাত্রীদের সমস্যার কোনো সুরাহা হয় নাকি সেটা দেখা কেবলই সময়ের অপেক্ষা।