প্রধানমন্ত্রীর নামে প্রতারণা, অ্যাকাউন্ট উধাও ৪.৫ লক্ষ টাকা

লাল্টু ও পার্থ দাস : দিন দিন বাড়ছে এটিএম কার্ড, এটিএম কাউন্টার এবং ডিজিটাল লেনদেনের ব্যবহার। আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে এই সকল ব্যবহার বাড়ার পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রতারণার ঘটনা। তবে এবার সেই সকল প্রতারণাকে হার মানালো বীরভূমে ঘটে যাওয়া একটি প্রতারণার ঘটনা। এবার প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রকল্পের নামে।

বীরভূমের খয়রাশোল ব্লকের অন্তর্গত উপর কেনান গ্রামের এক বাসিন্দা উজ্জ্বল মণ্ডলের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রকল্পের নাম করে এই প্রতারণার ঘটনা ওই ব্যক্তির দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা। টাকা উধাও হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে মাথায় হাত পড়েছে ওই ব্যক্তির।

ঘটনার সূত্রপাত বুধবার সকাল বেলায়। উজ্জ্বল বাবু রানীগঞ্জের একটি বেসরকারি সংস্থায় সিকিউরিটি গার্ডে কর্মরত। তিনি যখন কাজের জায়গায় ছিলেন সেই সময়ই তার ব্যাংকের সঙ্গে রেজিস্টার্ড থাকা মোবাইল নম্বর ছিল তার ছেলের কাছে। প্রতারকরা তার ছেলেকে ফোন করে। তারপর জানায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি প্রকল্পের টাকা আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দেওয়া হবে তার জন্য অ্যাকাউন্ট নম্বর লাগবে। উজ্জ্বল বাবুর নাবালক ছেলে টাকা আসার কথা শুনে ওই প্রতারককে অ্যাকাউন্ট নম্বর দেয়।

এরপর ধাপে ধাপে তার থেকে চাওয়া হয় এটিএম কার্ড নম্বর এবং অন্যান্য যাবতীয় তথ্য। উজ্জ্বল বাবুর ছেলে সাত পাঁচ না বুঝেই সমস্ত তথ্য দিয়ে দেয় এবং তারপর ফোন নম্বরে আসা ওটিপি দিয়ে দেয়। একটি অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়ার পর প্রতারকরা জানান, এই অ্যাকাউন্ট নম্বরে কিছু হচ্ছে না। অন্য কোন অ্যাকাউন্ট নম্বর থাকলে তা দিতে হবে। তখন উজ্জ্বল বাবুর নাবালক ছেলে অন্য আরও একটি অ্যাকাউন্ট নম্বর ও এটিএম কার্ডের সমস্ত বিবরণ দিয়ে দেয়। তারপর ওটিপি চাওয়া হলে সেটিও দিয়ে দেয়।

বেশ কিছুক্ষণ পর উজ্জ্বল বাবুর ছেলে তার মামাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। তখন তারা জানতে পারেন প্রতারণার শিকার হয়েছেন। ঘটনার পর তড়িঘড়ি তারা ব্যাংকের পাস বই আপডেট করে দেখতে পান, দুটি অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা। তড়িঘড়ি তারা খয়রাশোল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এবং পরে সিউড়িতে এসে সাইবার সেল পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেন। প্রতারিত হওয়া ওই পরিবারের সদস্যদের দাবি, সাইবার সেল থানার পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখেছেন এবং টাকা ফেরত আনার বিষয়ে তারা প্রচেষ্টা চালাবেন।