এরাও পাবেন লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা! খুশির হওয়া রাজ্যজুড়ে

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) রাজ্যের মহিলাদের জন্য নিয়ে এসেছেন নতুন একটি প্রকল্প লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshim Bhandar)। এই প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের তপশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলা মাসে মাসে ১০০০ টাকা এবং সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা মাসে মাসে ৫০০ টাকা করে পান। ২৫-৬০ বছর পর্যন্ত মহিলাদের এই সুবিধা দিচ্ছে রাজ্য সরকার।

এই প্রকল্পে এযাবত কেবলমাত্র মহিলারাই আবেদন করতে পারলেও সম্প্রতি একটি ঘটনা সামনে এসেছে যা থেকে জানা যাচ্ছে, তৃতীয় লিঙ্গের (Third Gender) একজন এই প্রকল্পে আবেদন করেন। তৃতীয় লিঙ্গের প্রতিনিধিরা এই প্রকল্পের নাম লেখাতে পারবেন তা নিয়ে রাজ্য সরকারের কোনো বিজ্ঞপ্তি না থাকলেও আবেদন করা ওই তৃতীয় লিঙ্গের প্রতিনিধির সেই আবেদন রাজ্য সরকারের তরফ থেকে গ্রাহ্য হয়েছে। তিনি প্রথম কোন তৃতীয় লিঙ্গের অন্তর্ভুক্ত এই প্রকল্পে আবেদন করে নাম নথিভুক্ত করালেন বলে জানা যাচ্ছে।

লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় নাম নথিভুক্ত করা ওই তৃতীয় লিঙ্গের প্রতিনিধি মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুরের (Berhempur) ইন্দ্রপ্রস্থের বাসিন্দা। তার নাম অরুনাভ নাথ। তার থেকে জানা গিয়েছে, তিনি এই প্রকল্পে আবেদন করার পর ইতিমধ্যেই তার কাছে এসএমএস মারফত চলে এসেছে আইডি নম্বর। তার এই আবেদন হওয়ার পর মুর্শিদাবাদ জেলায় থাকা প্রায় ৫০০ জন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করবেন বলে জানা গিয়েছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, এখনো পর্যন্ত এই প্রকল্পের আওতায় জেলার ১৫ লক্ষ ৫০ হাজার মহিলা আবেদন করেছেন। সবথেকে উল্লেখযোগ্য অরুনাভ নাথ তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ হয়েও এই প্রকল্পের আবেদন করেছিলেন এবং তার আবেদন গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। এরপরেই অন্যান্য তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করছেন। আশা করা হচ্ছে তাদের আবেদন গ্রহণ করবে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক সিরাজ দানেস্বর, ‘তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা স্থানীয় ব্লক অফিসে এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন।’

এই প্রকল্পের আবেদন এবং আবেদন গ্রহণ প্রসঙ্গে অরুণাভ নাথ জানিয়েছেন, তিনি গত ৩ নভেম্বর এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছিলেন। আবেদন করার সময় আবেদনপত্রে তৃতীয় লিঙ্গের বিকল্প বেছে নেওয়ার কোনো অপশন ছিল না। সেখানেই ছিল কেবল মাত্র স্ত্রী এবং কন্যা। যে কারণে তিনি এই আবেদনপত্রটিতে লিঙ্গের জায়গায় কোনরকম টিক না দিয়েই আবেদন করেন। আবেদন করার পর আবেদনপত্র গ্রহণ হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও শেষমেষ তার মোবাইলে এসএমএস আসে যাতে এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত হওয়ার আইডি দেওয়া হয়েছে।