কিশোর কুমারের কালজয়ী গান গেয়ে লকডাউনের সচেতনতা বার্তা বীরভূম পুলিশ আধিকারিকের

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা ভাইরাসের আবহে দেশজুড়ে লকডাউনকে সফল করতে বারবার আমরা দেখেছি পুলিশকে কঠোর থেকে কঠোরতম পদক্ষেপ নিতে। আবার তারা বারবার সাধারণ মানুষের কাছে বার্তা তুলে ধরেছেন লকডাউন মেনে চলুন, এই পরিস্থিতিতে বাড়িতে থাকা মানেই হলো নিজেকে সুরক্ষিত রাখা। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ মানুষ সরকার ও পুলিশের কথা অমান্য না করলেও গুটিকয়েক অতিউৎসাহী মানুষ এসবকে তুচ্ছ মনে করে বেরিয়ে পড়ছেন বাড়ির বাইরে নানান অজুহাতে। এমনকি তারা সামাজিক দূরত্ব পর্যন্ত মেনে চলতে নারাজ। তাই সেই সকল মানুষকে বোঝানোর জন্য অভিনব এক পন্থা বেছে নিল বীরভূম পুলিশের এক আধিকারিক।

“আজ এই দিনটাকে মনের খাতায় লিখে রাখো, আমায় পড়বে মনে কাছে দূরে যেখানেই থাকো…।” কিশোর কুমারের এই কালজয়ী গান গেয়েই করোনা আবহে সাধারণ মানুষের কাছে সচেতনতা বার্তা পৌঁছে দেওয়ার পথ বেছে নিলেন রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সৌমজিৎ বড়ুয়া। বুধবার তিনি পুলিশের একটি গাড়িতে মাইক লাগিয়ে রামপুরহাট, তারাপীঠ বিভিন্ন জায়গার মোড়ে মোড়ে পৌঁছে যান, পৌঁছে যান রেশনের দোকান, মুদিখানা যেখানে মানুষের ভিড় হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।আর সেই সকল জায়গাতেই তিনি গান গেয়ে তাদের সচেতন করার পথ বেছে নিলেন। অবশ্য গান শেষে জানিয়ে দেন, তাঁর গানের গলা অতটা ভালো নয়, আপনাদের সচেতন করার জন্য বিকল্প পথ বেছে নেওয়া।

যদিও পুলিশ আধিকারিকদের গান গেয়ে মানুষকে সচেতন করার পদক্ষেপ এই প্রথম নয়। এর আগেও আমরা দেখেছি ট্রাফিক আইন মেনে চলার জন্য পাঞ্জাবের এক পুলিশ অফিসারকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গান করতে। এমনকি এই করোনা ভাইরাসের প্রকোপের আবহে আমরা দেখেছি মানুষকে সচেতন করতে পুনের এক পুলিশ অফিসারকে ‘জিন্দেগি মৌত না বন যায়ে, সামালো ইয়ারো। হো রাহা চেয়নো আমন। মুশকিলো মে হ্যায় ওয়াতন’, গান গাইতে। আর দেশের পাশাপাশি সেই একই ছবি ধরা পড়ল আমাদের বাংলায়, আমাদের জেলা বীরভূমে।

প্রসঙ্গত, বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ দিনের পর দিন বাড়ছে তা জানেন না এমন কোনো মানুষ হয়তো এই মুহূর্তে পাওয়া মুশকিল। আর আমাদের জন্য আগামী দু’সপ্তাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এই দুই সপ্তাহ যদি আমরা নিজেদের গৃহবন্দী করে রাখতে পারি, কেবলমাত্র দরকারি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বের হয় তাহলে এই ভাইরাসের সংক্রমণ আমাদের দেশে অনেকটাই আটকানো সম্ভব হবে। বাঁচবে আমাদের দেশ, বাঁচবে দেশের ১০ জন।ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭, আর মৃতের সংখ্যা ৬। তাই এখনো সময় আছে সরকারের কথা মেনে চলুন, পুলিশের পরামর্শ মেনে চলুন।