শান্তিতে থাকতে বিশ্বভারতী ছেড়ে যেতে নারাজ কাশ্মীর থেকে আসা পড়ুয়া

অমরনাথ দত্ত : সোমবার ৫ ই আগস্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যসভায় ৩৭০ ধারা সংরক্ষণ সংশোধনী বিল পেশ করে জম্মু কাশ্মীর থেকে বাতিল করেন স্বাধীনতার পর থেকে লাগু থাকা সেই বিতর্কিত ধারাকে। ৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ার পর থেকে দেশজুড়ে আনন্দ উচ্ছ্বাসের সাথে সাথে রয়েছে চাপানউতোরও। কাশ্মীর থেকে ইতিমধ্যেই অজস্র বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের সরিয়ে আনা হয়েছে যোগীর রাজ্যে। গৃহবন্দী থেকে আটক প্রাক্তন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা নেত্রী। কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে জম্মু-কাশ্মীরে বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট এবং অন্যান্য যোগাযোগের মাধ্যম।

Source

আর সেই কাশ্মীর থেকে বিশ্বভারতীতে পড়তে আসা এক পড়ুয়ার মুখ থেকে শোনা গেল বীরভূমের বিশ্বভারতীর শান্তির কথা। বিশ্বভারতীর কলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্র মহঃ সৈয়দ টেলি জম্মু কাশ্মীরের কুড়ি বছরের পরিস্থিতির কথা মনে করে জানায়, এই পরিস্থিতিতে সে শান্তিনিকেতন ছেড়ে যেতে চায় না।

তার মুখে ফুটে উঠে শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তির বাতাবরণ। তার বক্তব্য, “বিশ্বভারতীর মতো শান্তি প্রিয় জায়গা বিশ্বে আর কোথাও মেলা ভার। এখানে রয়েছে পারিবারিক সম্পর্ক, বিশ্বভারতীর কেউ কোন দিন বুঝতে দেয় না যে আমি কাশ্মীর থেকে এসেছি। সকলে আমার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।”

তবে তারপরও তার মধ্যে রয়ে গেছে আক্ষেপ, একটা আশঙ্কা, এই মুহূর্তে জম্মু-কাশ্মীরে ইন্টারনেট এবং অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ থাকায় পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করতে না পারায়। আর সেজন্য তার সরকারের কাছে দাবি, গণতান্ত্রিক দেশে সকলের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্র সরকার জম্মু-কাশ্মীরে লাগু থাকা ৩৭০ ধারাকে বাতিল করে জম্মু-কাশ্মীরকে দুটি আলাদা আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করে, একটি জম্মু-কাশ্মীর এবং অন্যটি লাদাখ।