তালিকায় অনেক পিছনে থেকেও নিয়োগ, ফের চাকরি গেল এক শিক্ষকের

নিজস্ব প্রতিবেদন : এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ড নিয়ে সরগরম রাজ্য। এই দুর্নীতি কাণ্ডে ইতিমধ্যেই কয়েক দফা তলব পেয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। সিবিআই তলব পাওয়ার পাশাপাশি এই দুর্নীতি কাণ্ডে নাম জড়িয়ে যাওয়ার কারণে পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি বাতিল করেছে হাইকোর্ট। এবার একিভাবে চাকরি হারালেন আরও এক শিক্ষক।

এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ড নিয়ে মামলা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে সরে গিয়েছে বিচারপতি রাজাসেখর মান্থার বেঞ্চে। তবে মামলা সেই বেঞ্চে সরে গেলেও দুর্নীতির সঙ্গে যারা চাকরিতে নিযুক্ত হয়েছিলেন তারা রক্ষা পাচ্ছেন না। আর এতেই দেশের বিচার ব্যবস্থার উপর আরও ভরসা বাড়ছে মামলাকারীদের।

সোমবার এই মামলার শুনানিতে আদালতের বিচারক আরও এক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করলেন। নতুন করে চাকরি খোয়ানো শিক্ষকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ, তালিকায় অনেক নিচে নাম থাকা সত্ত্বেও নিয়োগের পরিপ্রেক্ষিতে। তালিকায় অনেক নিচে নাম থাকা সত্ত্বেও কীভাবে তাকে চাকরি দেওয়া হলো তা নিয়েই প্রশ্ন আদালতের।

সম্প্রতি এই মামলা করা হয় প্যানেল তালিকায় ২০০ নম্বরে নাম থাকা এক ব্যক্তির তরফ থেকে। তার করা মামলায় উল্লেখ করা হয়, তার নাম ২০০ নম্বরের থাকা সত্ত্বেও তিনি চাকরি পেলেন না, অথচ চাকরি পেয়েছেন ২৭৫ নম্বরে নাম থাকা সিদ্দিকী গাজী। নবম ও দশম শ্রেণীর গণিতের শিক্ষক হিসাবে ওই ব্যক্তি চাকরি পেয়েছিলেন। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সমস্ত কিছু শোনার পর চাকরি বাতিল করে এবং এই মামলার ফের শুনানি হবে বুধবার।

উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে এসএসসি সংক্রান্ত মামলা সরানো হয় বিচারপতি রাজাসেখর মান্থার এজলাসে। এসএসসি সংক্রান্ত নতুন কোনো মামলায় পাঠানো হবে না বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। নতুন সব মামলার তদারকি করবেন বিচারপতি রাজাসেখর মান্থা। তবে যে মামলাগুলি চলছে সেগুলির শুনানি হবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসেই।