শিক্ষিকার অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার অভিনব পন্থা দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরেই স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সব বন্ধ। করোনার প্রকোপে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষাক্ষেত্র। আর এই কারনেই যতদিন না অবধি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সবকিছু খুলছে ততদিন অবধি যেখানে যেখানে সম্ভব অনলাইনে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। শিক্ষক শিক্ষিকারা অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু অনলাইনে ক্লাস নিতে এবং অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে পড়াশুনা চালাতে গেলেও তো অনেক রকম জিনিস লাগে। ক্লাস নেওয়ার ক্ষেত্রে যার মধ্যে অন্যতম একটি জিনিস হল স্ট্যান্ড ক্যামেরা। এই জিনিসটির অভাবে শিক্ষক শিক্ষিকারা নিত্যনতুন উপায়ে নিজেদের মোবাইল ফোনকে ব্যবহার করছেন যা দেখে তাক লেগে যায়।

কীভাবে মোবাইল ফোনকে ঠিকঠাক পজিশনে নিয়ে ক্লাস নেওয়া সম্ভবপর হবে তার জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রতি মুহূর্তে মাথা খাটিয়ে চলেছেন। অনলাইন ক্লাস নেওয়ার জন্য নিত্য নতুন পদ্ধতির আবিষ্কার করছেন শিক্ষিক মহল।এর আগে একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল হ্যাঙ্গার দিয়ে মোবাইল ফোনকে ঝুলিয়ে রেখে ক্লাসের ভিডিও করে একজন শিক্ষিকা ক্লাস নিচ্ছিলেন। হ্যাঙ্গারকে দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে তার ঠিক মাঝখানে মোবাইল ফোন আর নীচে একটি চেয়ার দিয়ে পুরোটাকে ব্যালেন্স করে যেভাবে তিনি পুরো ক্লাসটাকে প্রোভাইড করছিলেন দেখলে চমকে যেতে হয়। অনলাইন ক্লাস নেওয়ার জন্য এ রকমই নিত্য নতুন উপায় উদ্ভাবন করে চলেছেন তারা প্রতি মুহূর্তে। সম্প্রতি আরও একটি ছবিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে একজন শিক্ষিকা অনলাইনের ক্লাস নিচ্ছেন। আর এই ক্লাস নেওয়ার জন্য একটি রেফ্রিজারেটর ট্রে’র অনবদ্য ব্যবহার নেটিজেনদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে তিনি টেবিলের ওপর একটি ফাইবারের চৌকো ট্রে রেখেছেন। এটি হলো একটি রেফ্রিজারেটরের ট্রে।এটিকে দুটি প্লাস্টিকের উপর রেখে দিয়েছেন আর এই রেফ্রিজারেটরের ট্রে’র উপর মোবাইল রেখে ক্যামেরা অন করেছেন তিনি।

ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে তার লেখার টেবিল থেকে বেশ কয়েক ইঞ্চি উচুঁতে মোবাইলটা রাখা আছে। টেবিলের ওপরে তিনি খাতা পেন নিয়ে পড়া বোঝাচ্ছেন। এর ফলে খাতার ওপর সরাসরি ক্যামেরার ফোকাস পড়ছে আর শিক্ষিকা পড়া বোঝানোর জন্য তার হাত ও খালি রাখতে পারছেন। আর কিভাবে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষিকারা যেমন ঝঞ্ঝাট থেকে মুক্ত হচ্ছে ঠিক তেমনি একই পন্থায় ব্যবহার করলে পড়ুয়ারাও ঝঞ্ঝাটমুক্ত হবেন।

সত্যি এই ভাবে নিজেদের বুদ্ধি খাটিয়ে অনলাইন ক্লাস প্রোভাইড করা দেখতে দেখতে মনের মধ্যে এমনিই সম্ভ্রম জাগে। নেটিজেনরা ও শিক্ষিকার বুদ্ধির যথেষ্ট তারিফ করেছেন, কমেন্ট বক্সে উপচে পড়েছে প্রশংসা। এরকম শিক্ষক-শিক্ষিকার তারিফ করাই উচিত, উন্নত প্রযুক্তি না থাকলেও যারা শিক্ষা দেওয়ার জন্য উন্নত প্রযুক্তির ব্যবস্থা করছেন, তারা সত্যিই প্রণম্য।