হুড়মুড়িয়ে গঙ্গায় ভেঙে পড়লো আস্ত ব্রিজ, জলে গেল ১৭১০ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদন : ওড়িশার বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আরও একটি বিপর্যয় সামনে এলো। এবার হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল একটি আস্ত ব্রিজ। গঙ্গার উপর ওই ব্রিজটি নির্মাণ করা হচ্ছিল এবং নির্মাণকার্য চলাকালীনই ব্রিজটি ভেঙে (Bridge Collapse) পড়ে। ব্রিজটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙ্গে পড়ার মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি হয় আর তারপরই সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড হতেই ভাইরাল হয়ে যায়।

ব্রিজ ভেঙ্গে পড়ার ঘটনা ভারতে নতুন কিছু নয়। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন সময় এই ধরনের ব্রিজ ভেঙে পড়তে দেখা গিয়েছে। তবে ব্রিজ ভেঙে পড়ার নিরিখে কিছুটা হলেও এগিয়ে রয়েছে বিহার (Bihar)। আর এবারেরও এই ব্রিজ ভেঙ্গে পড়ার ঘটনাটি ঘটেছে বিহারে। রবিবার সন্ধ্যা বেলায় তাসের ঘরের মতো এমন ব্রিজটি ভেঙে (Bihar Bridge Collapse Video) পড়ার ঘটনা ঘটে বিহারের ভাগলপুরে। গঙ্গার উপর অগুয়ান্তি থেকে সুলতানগঞ্জ পর্যন্ত এই ব্রিজটি নির্মাণ করা হচ্ছিল।

গঙ্গার উপর ১০০ মিটার উচ্চতায় তৈরি করা হচ্ছিল এই ব্রিজটি। ঘটনার সময় ব্রিজের তিনটি স্তম্ভ একের পর এক হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। পরে ব্রিজ ভাঙ্গার ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় এবং জানা যায় রবিবার সন্ধ্যা ৭:১৫ নাগাদ এমন ঘটনাটি ঘটে। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়েছেন কিনা তা সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

জানা গিয়েছে, এই ব্রিজটি নির্মাণের জন্য ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার (Nitish Kumar)। বিহারের ভাগলপুর জেলার সুলতানগঞ্জকে অগুয়ান্তি ঘাটের সঙ্গে যুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে এই ব্রিজ তৈরি করার কাজ শুরু করা হয়। ব্রিজটি নির্মাণ হলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আসতো। আর সেই আশাতেই তাকিয়ে ছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু সেই আশা মুহূর্তের মধ্যে ভেঙ্গে পড়ল রবিবার।

গঙ্গার উপর এই ব্রিজ তৈরি হচ্ছিল চার লেনের। ব্রিজটি নির্মাণের জন্য ১৭১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও এই ব্রিজ নির্মাণের সময় ভেঙে পড়েছিল গত বছর ৩০ এপ্রিল। সেবার প্রবল ঝড়ের কারণে নির্মীয়মান ব্রিজ ভেঙে গিয়েছিল। এবার নতুন করে এই ব্রিজ নির্মাণের সময় দ্বিতীয়বার ভেঙ্গে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে ভাগলপুরের এসডিও ধনঞ্জয় কুমার জানিয়েছেন, “আমরা সেতুটির স্তম্ভ এবং একাংশ ভেঙে পড়ার খবর পেয়েছি। ঘটনাটি পারভাট্টার। আমরা সেতু নির্মাণের সঙ্গে জড়িত ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে কথা বলেছি। এখন পর্যন্ত কোনও প্রাণহানির বা সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর নেই। ”