ঠিক যেন ওয়ান্ডার কার! লাগে না পেট্রোল, বিনা খরচে চলছে Tata Nano

নিজস্ব প্রতিবেদন : রুপালি পর্দায় আমরা দেখেছিলাম টারজান : দ্য ওয়ান্ডার কার। যেখানে দেখা গিয়েছিল বাবার ভাঙাচোরা গাড়ি সাজিয়ে গুছিয়ে একেবারে আধুনিক গাড়িতে পরিণত করেছিলেন রাজ। যে গাড়িকে কেন্দ্র করেই একটি পুরো সিনেমা তৈরি হয়। তবে এবার সেই সিনেমার বাইরেও একই রকম চিত্র দেখা গেল বাস্তবে।

বাস্তবেও এইরকমই একটি গাড়ির দেখা মিলল, যে গাড়িটি নতুন করে সাজানো হয়েছে এবং তা সাজানো হয়েছে নিজস্ব উদ্ভাবনী শক্তির উপর ভর করে। এমনটা করেছেন বাঁকুড়ার যুবক মনোজিৎ মন্ডল। তিনি নিজের উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে গাড়ির মধ্যে আধুনিকতার ছোঁয়া দেওয়ার জন্য ব্যবহার করেছেন পুরাতন Tata Nano।

তবে টারজান : দ্য ওয়ান্ডার কার সিনেমায় গাড়ির মডেলের ক্ষেত্রে একাধিক পরিবর্তন আনা হলেও এক্ষেত্রে কিন্তু মনোজিৎ মন্ডল কোন পরিবর্তন আনেননি। তিনি যা পরিবর্তন এনেছেন তা এনেছেন ফিচারের ক্ষেত্রে। আর সেই ফিচার তাক লাগাচ্ছে এলাকার মানুষদের।

মনোজিৎ মন্ডল হলেন বাঁকুড়ার কাটজুড়িডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা। বাঁকুড়া খ্রিস্টান কলেজ থেকে কলা বিভাগ স্নাতক ডিগ্রি লাভের পর ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়াশোনা করেন। পড়াশোনা শেষে বাঁকুড়া শহরে ইলেকট্রিক বাইকের ব্যবসা শুরু করেন। ব্যবসার কাজের ফাঁকেই অচিরাচরিত শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন ব্যবহারের চিন্তা ভাবনা থেকে মনোজিৎ একটি পুরাতন টাটা ন্যানো কেনেন ১৯৯০০ টাকায়।

সেই টাটা ন্যানো গাড়িতে পেট্রোল ডিজেল ইঞ্জিনের পরিবর্তে ব্যাটারি চালিত ইঞ্জিন বসানো হয়। এই কাজ করতে মনোজিতের সময় লাগে ১৯ দিন। ৭২ ভোল্টের ব্যাটারি দিয়ে গাড়ি চালানোর ব্যবস্থা করা হয়। সেই ব্যাটারি চার্জ করার জন্য কোনরকম ইলেকট্রিক যাতে ব্যবহার না হয় তার জন্য সোলার ব্যবস্থা করা হয়। আর সেই সোলার প্যানেল বসানো হয়, গাড়ির ছাদে। এই গাড়ির ব্যাটারি সম্পূর্ণ চার্জ হতে সময় নেই ৬ ঘন্টা আর ৬ ঘন্টা চার্জে চলে ১০০ কিলোমিটার।