আব্বাস সিদ্দিকীর দল ISF কতটা ভোট কাটতে পারে, কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা

নিজস্ব প্রতিবেদন : নতুন দল গঠন করার বার্তা আগেই দিয়েছিলেন। আর সেই বার্তাকেই বাস্তবায়িত করে বৃহস্পতিবার কলকাতার প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজের নতুন দল এবং দলীয় পতাকা সামনে আনলেন ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী। দলের নাম দিয়েছেন ISF অর্থাৎ ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। দলীয় পতাকায় দুটি রং রাখা হয়েছে নীল এবং সবুজ। আব্বাস দাবি করেছেন তার দল মূলত পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য কাজ করবে।

তবে আব্বাস সিদ্দিকীর এই নতুন দল ঘোষণার পর বঙ্গ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে এই নতুন দল কতটা ভোট কাটতে পারে। কারণ দল ঘোষণার সাথে সাথেই আব্বাস সিদ্দিকী ঘোষণা করেছেন রাজ্যে মুসলিম অধ্যুষিত জেলাগুলিতেই তারা প্রার্থী দেবেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আব্বাস সিদ্দিকীর পাখির চোখ হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা ও নদিয়া।

দল গঠনের কারণ হিসেবে আব্বাস সিদ্দিকী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, ‘তৃণমূল উন্নয়নের স্বপ্ন দেখালেও কিছু পিছিয়ে পড়া মানুষ কিছুই পাইনি। যে কারণেই নতুন দল গঠন করা হয়েছে।’ অন্যদিকে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিজেপিকে সাহায্য করতেই নাকি তিনি নতুন দল গঠন করেছেন। এর উত্তরে আব্বাস সিদ্দিকী জানিয়েছেন, ‘রাজ্যে বিজেপিকে এনেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পশ্চিমবঙ্গের ২৯৪ টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে মুসলিম অধ্যুষিত আসনের সংখ্যা ১২০টি। আর এই মুসলিম অধ্যুষিত প্রতিটি আসনে আব্বাস সিদ্দিকী প্রার্থী দিলে স্বাভাবিকভাবেই চাপে পড়বে তৃণমূল বলে মনে করছেন তারা। আব্বাস সিদ্দিকীর নতুন দলের শাসকদল তৃণমূলের বেশকিছু ভোট কেটে নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

যদিও এমনটা মানতে নারাজ শাসক দল। তৃণমূলের বর্ষিয়ান সাংসদ সৌগত রায় জানিয়েছেন, “নির্বাচনের আগে অনেক নতুন খেলোয়াড় সব রাজ্যেই মাঠে নামে। আব্বাস সিদ্দিকীও মাঠে নামলেন। ৩ মাস আগে মাঠে নেমে কিছু করা যায় না। তিনি যদি তৃণমূলের একটা ভোট কাটেন তাহলে তাতে সাহায্য হবে বিজেপির। আমাদের রাজ্যের সংখ্যালঘুরা তৃণমূলের সাথে আছেন এবং থাকবেন।”